রাত ১০:২৬, ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
পাকস্থলীর গ্যাসট্রিক গ্ল্যান্ডে অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণের ফলে অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা হয়। সাধারণত অনেকক্ষণ খালি পেটে খাকলে, অতিরিক্ত চা, কফি পান করলে, মশলাযুক্ত ও ভাজাভুজি খাবার বেশি খেলে, খাওয়ার অনিয়ম হলে, রাতের খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস থাকলে, ধূমপান, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা ইত্যাদি কারণে পেটে গ্যাস হতে পারে। গ্যাস, অম্বলের কারণেই পেট ফুলে ওঠে, ঢেকুর ওঠে, বুক জ্বালা করে ও পেটের অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়।
জীবনধারায় সামান্য পরিবর্তন এবং খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার সংযোজন করলেই এই সমস্যা থেকে স্বস্তি পেতে পারেন।ঘরোয়া উপায়গুলো দীর্ঘকাল ধরে অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করে হলুদ ও জোয়ান।
হলুদ
হাজারো গুণে সমৃদ্ধ হলুদ। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষেও বিভিন্ন উপায়ে উপকারী। বিশেষজ্ঞরা জানান যে, নিয়মিত হলুদের পানি খাওয়ার ফলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের হয়। এছাড়াও অনাক্রম্যতা শক্তিশালী এবং বিপাক ভালো করে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ মলিকুলার সায়েন্সে প্রকাশিত একটি গবেষণায়ও অম্লতার জন্য হলুদের প্রভাবের দিকে নজর দেয়া হয়েছিল। গবেষণা অনুসারে হলুদে পাওয়া কারকুমিন যৌগ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের জন্য উপকারী। এটি অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং বদহজম থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
জোয়ান
আমরা অনেকেই খাবার খাওয়ার পর একটু মৌরি বা জোয়ান মুখে দিই৷ মুখশুদ্ধি হিসেবে জোয়ানের জুড়ি নেই৷ কিন্তু জানেন কি? জোয়ান শরীরের পক্ষে দারুণ উপকারী। জোয়ানের সব থেকে বড়ো গুণ হলো- এটি হজম শক্তি বাড়ায় ও হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। গ্যাস অম্বলের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। এর জন্য এক চামচ জোয়ান, একচামচ মৌরি, ও একচামচ আদা গুড়া বা আদা পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে সেই পানি পান করা যেতে পারে।
কীভাবে তৈরি করবেন হলুদ ও জোয়ানের পানি
হলুদ ও জোয়ানের পানি তৈরি করা খুব সহজ। এটি অল্প সময়ের মধ্যে প্রস্তুত করা হয়। রাত্রে এক গ্লাস পানিতে জোয়ান ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে পানিতে কাঁচা হলুদ যোগ করে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এরপর এই পানীয়টি ঠান্ডা করুন এবং তারপরে এটি পান করুন। আপনার যদি কাঁচা হলুদ না থাকে তবে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া দিন। এটি বদহজম এবং অম্লতা দূর করতে সহায়তা করে। তবে এই পানীয় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত।