সকাল ৭:৫২, ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:

কোভিডে বিশ্বে বিমান যাত্রী ৬৬% হ্রাস

ডেস্ক রিপোর্ট : বিমান চলাচললের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ যাত্রী হ্রাস। নাটকীয়ভাবে গত বছর বিমান যাত্রী হ্রাস পায় কোভিডে বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এ্যাসোসিয়েশন বলছে এক এক দেশের সীমানা বন্ধ, কঠোর ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সগুলোকে এক নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে। কোভিডের নতুন প্রজাতি ও আরো সংক্রমণযোগ্য রুপগুলোর উত্থান বরং বিমান চলাচল খাতের পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনাগুলোকে আরো তিরোহিত করেছে।

ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এ্যাসোসিয়েশন বলছে গত বছর তার আগের বছরের তুলনায় এয়ার কার্গোর চাহিদা হ্রাস পেয়েছে ১০.৬ শতাংশ। সবচেয়ে সস্তা এয়ারলাইন্স হিসেবে রায়ান এয়ারলাইন্স ক্ষতি গুণেছে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। আর কার্গো বিমানের চাহিদা এত সর্বনিম্নে পৌঁছেছে যা শুরু হয়েছিল ১৯৯০ সালে।

চলতি বছরেও বিশে^র বিভিন্ন এয়ারলাইন্সগুলোর জন্যে সংকটময় হয়ে উঠছে কারণ বিভিন্্ন দেশ এখনো বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করছে চলাচলে। অথচ এ বছর পরিস্থিতির উন্নতি অন্তত ৫০.৪ শতাংশ ঘটেছিল। এ্যাসোসিয়েশনের মহাপরিচালক ও সিইও আলেকজান্ডার ডি জুনিয়াক বলেন কোভিডের নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় বিমান চলাচলের সম্ভাবনা বিনষ্ট হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতি এ খাতের উপর বরং বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। কারণ গত বছর এয়ারলাইন্সগুলো কার্যত কোনো আয় করতে পারেনি। যাত্রীদের আগাম টিকিট বুকিং হু হু করে পড়ে গেছে। বিশাল ঋণের বোঝা চেপে বসেছে।

এ্যাসোসিয়েশন এয়ারলাইন্সগুলোর ৮২ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করছে। গত বছর আন্তর্জাতিক পর্যটকদের সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় ৭৫.৬ শতাংশ হ্রাস পায়। গত বছর বিভিন্ন দেশে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল ব্যাপক হ্রাস পায়। আগের বছরের তুলনায় গত বছর তা ৪৮.৮ শতাংশ হ্রাস পায়। জুনিয়াক বলেন গতবছরের এ খাতের বিপর্যয় আর কোনো পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করা কঠিন। ঋতু পরিবর্তন হয়েছে, শরত এসেছে, ছুটির সময় কেটে গিয়েছে কিন্তু ভ্রমণের জন্যে কাউকে পাওয়া যায়নি। হাজার হাজার সুপরিসর বিমানগুলো ডানা মেলে উড্ডয়ন করেনি। আর বিভিন্ন দেশের সরকারের আরোপিত বিধি ব্যবস্থা বিমান চলাচল ব্যবস্থাকে পুরোপুরি অচল করে দিয়েছে।

এধরনের বিধিব্যবস্থাকে এয়ারলাইন্সগুলোর জন্যে কঠিন আঘাত হিসেবে অভিহিত করে বলা হয় এটি অর্থনৈতিক বা মানবিকভাবে টেকসই নয় ।