রাত ৯:৪৯, ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:

ভারতের বিতর্কিত ‘কনকাশন সাব’, আইসিসির আইনও গম্ভীরদের বিপক্ষে

স্পোর্টস ডেস্ক
শিভাম দুবের বদলি নেমেছেন হার্ষিত রানা। একজন স্বীকৃত ব্যাটিং অলরাউন্ডারের কনকাশন সাব বিশেষজ্ঞ পেসার। ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যেকার ৪র্থ টি-টোয়েন্টির ম্যাচ ছাপিয়ে মূল আলোচনায় চলে এসেছে এমন এক কনকাশন সাব। যার বিপক্ষে কথা বলেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন। আবার প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জস বাটলারও।

দুই পক্ষের এই বিবাদের মাঝে আইসিসির ক্রিকেটীয় আইনের পাতাও ওল্টাতে শুরু করেছেন অনেকেই। তাতেও অবশ্য ভারতের পক্ষে যাচ্ছে না আইনের ধারা। বরং লাইক-ফর-লাইকের ধারা মেনে নিলেও কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথকে।

আইসিসির আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির প্লেয়িং কন্ডিশনের ১.২.৭.৪ ধারা অনুযায়ী, ‘লাইক-ফর-লাইক প্লেয়ারের জন্য কনকাশন সাব করা যাবে কিনা তা বিবেচনা করতে গেলে ম্যাচ রেফারি কনকাশন হওয়া প্লেয়ারের ম্যাচের বাকি অংশে ভূমিকা কী হতে পারত তার সাথে সাব হিসেবে নামতে যাওয়া প্লেয়ারের ম্যাচের বাকি অংশে ভূমিকা কী হতে পারে তা বিবেচনা করা সিদ্ধান্ত নেবেন।’

এই আইনের ধারা অনুযায়ী, শিভাম দুবের বদলে এমন একজনকে নামতে হতো যিনি ভারতের বোলিং ইনিংসে দুবের মতোই ভূমিকা রাখবেন। শিভাম দুবের বোলিং প্রোফাইল অবশ্য মোটেই বোলার-সুলভ না। শেষ ৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি করেছেন মোতে ১২ ওভার। ২০২৪ সাল থেকে আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্র ব্যতীত কোনো দলের বিপক্ষেই বল করেননি দুবে। এমনকি নিজের শেষ ১২ ম্যাচে করেছেন মোটে ৯ ওভার বোলিং।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও তিনি বোলিং বিবেচনায় থাকবেন না সেটাই ছিল স্বাভাবিক। তবে তার কনকাশন সাব নেমেছেন হার্ষিত রানা। যিনি বল করেছেন পুরো চার ওভারই। আবার নিয়েছেন ৩ স্বীকৃত ব্যাটারের উইকেট। হার্ষিত রানার এই ভূমিকাতেও আছে আপত্তি জানানোর সুযোগ।

প্লেয়িং কন্ডিশনের ১. ২. ৭. ৩ ধারায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বদলি হিসেবে যে খেলোয়াড় নেওয়া হবে সেই খেলোয়াড়ের ভূমিকা আঘাত পাওয়া ক্রিকেটারের মতো (লাইক টু লাইক) হতে হবে। এই বদলিতে দল যেন অতিরিক্ত সুবিধা না পায়, সেই বিষয়ের কথা উল্লেখ করা আছে। যদিও ম্যাচ রেফারি শ্রীনাথ এসব কতটা বিবেচনায় রেখেছেন তা নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়াতে উঠেছে প্রশ্ন।

কিন্তু শিভাম দুবের জায়গায় রানার অন্তর্ভুক্তি যে ভারতকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে সেটাও নিশ্চিতভাবেই জানা কথা। অবশ্য এর বিপরীতে আপিল করারও সুযোগ ছিল না ইংল্যান্ডের কাছে। কারণ আইসিসিরই প্রণয়ন করা আইনে যে সেই সুযোগ ছিল না জস বাটলারের দলের সামনে।