দুপুর ২:৫৭, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:

৫.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। সোমবার (৩ মার্চ) দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় মালুকু প্রদেশে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। অবশ্য এই ভূমিকম্পের জেরে কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি এবং সুনামির শঙ্কাও সৃষ্টি হয়নি। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড)-এর তথ্য অনুসারে, সোমবার ভোরে ৫.৬ মাত্রার অগভীর ভূমিকম্প ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় মালুকু প্রদেশে আঘাত হেনেছে। ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ু এবং ভূ-পদার্থবিদ্যা সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১ টা ৪২ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। এই কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল মালুকু তেঙ্গা রিজেন্সি থেকে ৬৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।

প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার জরুরি ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্যান্ডি লুহুলিমা জানিয়েছেন, “ভূমিকম্পের ফলে কোনও গুরুতর প্রভাব পড়েনি এবং কোনও গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।” উল্লেখ্য, এশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপদেশ ইন্দোনেশিয়ার জন্যসংখ্যা সাড়ে ২৭ কোটির বেশি। ভূতাত্ত্বিক অবস্থার কারণে নিয়মিতই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে থাকে।

২০০৯ সালে দেশটির পাদাংয়ে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেই সময় প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে এক হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং আহত হন আরও অনেকে। এছাড়া ভূমিকম্পে বাড়িঘর ও বিভিন্ন স্থাপনাও ধ্বংস হয়ে যায়।

তারও আগে ২০০৪ সালে সুমাত্রার উপকূলে ৯ দশমিক ১ মাত্রার মাত্রার ভয়াবহ একটি ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের পরপর আঘাত হানে সুনামি। তখন ওই অঞ্চলে ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে ইন্দোনেশিয়ায় ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের তথাকথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা দেখা যায়। এখানে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষ ঘটে। অবশ্য শুধু ইন্দোনেশিয়া নয়, জাপানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব দেশই এ কারণে ভূমিকম্পের অত্যধিক ঝুঁকিতে আছে।