সন্ধ্যা ৬:৫৩, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত ২৬ ফ্রেরুয়ারী কসবা পৌর এলাকার নূরে আলম শাহরিয়ার কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ দেন। যাতে কসবায় উপজেলা নির্বাচন অফিস যেন এক অনিয়ম-দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য। নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারী ও অনিয়মের নানা অভিযোগ রয়েছে। টাকা না দিলে পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হয়। সব মিলিয়ে অফিসটি এখন ঘুষ ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
এছাড়াও উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা মনির ইসলাম, অফিসের স্কিনিং অপেরেটর ইসমাইল হোসেন, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মোঃ মারজিদ হোসেনের বিরুদ্ধে নতুন ভোটার করা, সংশোধন ও ভোট স্থানান্তরসহ বিভিন্ন কাজে অনিয়ম ঘটিয়ে লাখ লাখ টাকা দালাল চক্রের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গত ১২ মার্চ নির্বাচন কমিশনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার উত্তম কুমার রায় স্বাক্ষরিত অভিযোগের তদন্তের কার্যক্রমে আদেশ গত ১৮ মার্চ মঙ্গলবার কসবা উপজেলা নির্বাচনে অফিসে ভুক্তভোগীকে উপস্থিত থাকার জন্য আদেশ জারি করেন।
এদিকে অভিযোগ বা তদন্ত বিষয়ে নূরে আলম শাহরিয়ার বলেন, বিগত একটি অভিযোগের মাধ্যমে তাকে বদলী করা হলেও সে অসৎ উপায়ে মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এবং স্থানীয় রাজনীতির ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুনরায় কসবা উপজেলায় বহাল থাকেন। তিনি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সেবা প্রত্যাশীদের থেকে নানা অভিনব কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, অভিযোগটি তদন্তের জন্য গত ১৮ মার্চ মঙ্গলবার কসবা উপজেলা নির্বাচন অফিসে যথাসময়ে আমি উপস্থিত হই, কিন্তু অফিসে কোন তদন্ত কার্যক্রম দেখতে না পেয়ে উক্ত অফিসে কর্মচারী জিজ্ঞসা করিলে তিনি জানান পরবর্তীতে ২৪ মার্চে উপস্থিত থাকার জন্য অবগত করে।
এখানে উল্লেখ্য যে, পূর্বে অভিযোগ ও বিভিন্ন জাতীয় প্রিন্ট মিডিয়া নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর কোন প্রতিকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। এবারো শাক দিয়ে মাছ ডাকা নাটক শুরু করে দিয়েছেন কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।