দুপুর ১:০৯, ১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:

ভারতের প্রধানমন্ত্রী কোথাও গেলে দুয়োধ্বনি দেয় না, আমাদের দেয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী কোথাও গেলে সেখানে দুয়োধ্বনি দেওয়ার জন্য কেউ দাঁড়িয়ে থাকে না। আমাদের এখানে হয়, এটা চিরদিন হয়ে আসছে। এটা থেকে আমাদের বের হতে হবে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর এক‌টি হোটেলে ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

তৌ‌হিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে কয়েকটি বড় বড় রাজনৈতিক দল আছে। সেগুলো হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। কারণ পৃথিবীর কোনো রাজনৈতিক দলের এত শাখা, কর্মী নেই। আমাদের বিশেষ করে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জামায়াত, ক্ষেত্র বিশেষে জাতীয় পার্টির সারা বিশ্বে শাখা আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে দুই দল, তিন দল প্রচণ্ড শত্রুভাবাপন্ন, একইরকম শত্রুভাবাপন্ন আমাদের প্রবাসীরা, যারা এসব দলের শাখাগুলোতে আছেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এরকম কি পৃথিবীর কোনো দেশের ক্ষেত্রে আপনারা দেখেছেন যে কেউ একজন দেশ থেকে যায় আর তাকে ডিম ছোড়ার জন্য বা তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার জন্য বিরাট সংখ্যক মানুষ দাঁড়িয়ে আছে? ইস্যুভিত্তিক না, স্রেফ ব্যক্তি এবং দলভিত্তিক যে প্রতিক্রিয়া হয়, এটা আমাদের বিরাট ক্ষতি করছে, আমাদের ইমেজের ক্ষেত্রে, আমাদের ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে।

ভারতের উদাহরণ দিয়ে তৌ‌হিদ হোসেন বলেন, ভারতীয়রা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে, আমরা পাই না কেন? কারণ আমরা স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িত হই খুব কম। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে, সেদিকে তাকান। কত ভারতীয় গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে চলে আসছেন। আমাদের ক্ষেত্রে কতটুকু হয়, বরং পাকিস্তানে কিছুটা হচ্ছে। বাংলাদেশিরা টাওয়ার হেমলেটসে কিছু হয়েছে, যুক্তরাজ্যে কয়েকজন এমপি আছেন, এটা হলো বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ের…।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারত তাদের ডায়াসপোরা তৈরি করেছে। সফটওয়্যার কোম্পানির প্রধান ভারতীয়, এগুলো হচ্ছে আসল রাস্তা ব্র্যান্ডিংয়ের। ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য আমাদের অবশ্যই ভালো কাজ করতে হবে।ম এনআরবি চেয়ারপারসন এম এস সেকিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, ব্যাংকার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল হাই সরকার, ব্যবসায়ী নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সাবেক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী ফোর্স কমান্ডার মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর (অব.) বক্তব‌্য দেন।