আমি নিজেদের খেলোয়াড়দের সমালোচনা করি না : তামিম

আমি নিজেদের খেলোয়াড়দের সমালোচনা করি না : তামিম

ক্রীড়া প্রতিবেদক : কথায় আছে ‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’, এই প্রবাদ মোতাবেক সব ভালো করতে পারল না বাংলাদেশ দল। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজের শিরোপা নিশ্চিত করলেও, শেষ ম্যাচে গিয়ে মিলেছে হতাশাজনক পরাজয়। ঘুরে দাঁড়িয়ে ৯৭ রানের বড় জয় নিয়ে বাড়ি ফিরছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দল।

শুক্রবার সিরিজের শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২৮৬ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় সফরকারীরা। জবাবে বাংলাদেশ দল অলআউট হয়েছে ১৮৯ রানে। ব্যাট হাতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ফিফটি হাঁকিয়ে দলকে দুইশর কাছাকাছি নিয়ে গেছেন।

কিন্তু পুরো সিরিজেই হতাশ করেছেন তরুণ ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে প্রথম দুই ম্যাচে লিটন দাস ও শেষ ম্যাচে তার জায়গায় সুযোগ পাওয়া নাইম শেখ। তিন ম্যাচেই সাকিব আল হাসান, প্রথম ম্যাচে ভালো ক্যামিও খেলার পর শেষ দুই ম্যাচে আফিফ হোসেন ধ্রুব পাননি রানের দেখা।

ব্যাটিংয়ে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ব্যতীত কেউই সে অর্থে ভালো করতে পারেননি। এছাড়া শেষ ম্যাচে ফিল্ডিংও হয়েছে যাচ্ছেতাই। লঙ্কান অধিনায়ক কুশল পেরেরার ক্যাচই তিনবার ছেড়েছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। যিনি ১২০ রানের ইনিংস খেলকে দলকে নিয়ে গেছেন সুবিধাজনক অবস্থানে।

সিরিজ জিতলেও ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়ে এমন অধারাবাহিক পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশ টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে খোলাখুলি দলের খেলোয়াড়দের সমালোচনার পক্ষে নন তিনি। সিরিজ শেষে নিজেদের কাজ করার আরও অনেক জায়গা রয়েছে বলে অভিমত তামিমের।

ম্যাচ শেষে সিরিজের শিরোপা হাতে নেয়ার আগে তামিম বলেছেন, ‘গত ম্যাচের পর এবং এ ম্যাচের শুরুতে আমি যেমনটা বলেছিলাম, আমরা সিরিজ জিতেছি কিন্তু একবারও নিখুঁত ম্যাচ খেলিনি। আমরা এই সিরিজে আমাদের সম্ভাবনার পুরোটা দিয়ে খেলতে পারিনি। সিরিজ জেতার পর আমি বলতে পারি যে আমাদের কাজ করার মতো কিছু জায়গা আছে।’

বোলিংয়ে ৩০ রান বেশি খরচ করার আক্ষেপ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ওরা আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে এ ম্যাচে এসেছিল এবং আমরা তাদের সেটি করতে সাহায্য করেছি। আমরা বেশি শর্ট বল করেছি। আমরা আমাদের সুযোগগুলো নেইনি, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুটি ক্যাচ ফেলেছি এবং আমাদের হয়তো ৩০ রান কম তাড়া করতে হতো।’

যে দুই ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ, সেখানে ব্যাটিংয়ে মূল অবদান ছিল সিনিয়র তথা তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদের। প্রথম ম্যাচে তিনজনই হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ খেলেন ৪০ ছাড়ানো ইনিংস। এছাড়া সাকিব ব্যাটে ব্যর্থ হলেও, বোলিংয়ে তিন ম্যাচেই ছিলেন সপ্রতিভ।

সিনিয়রদের পারফরম্যান্সে জয় মিললেও, তরুণদের ওপর হাল ছাড়তে রাজি নন টাইগার অধিনায়ক, ‘সিনিয়রদের ওপর নির্ভরতা দুশ্চিন্তার। তবে আমি সবসময়ই তরুণদের উপর ভরসা রাখি। আমি তাদের দিকে আঙুল তুলি না। কারণ আমি জানি তারা কতটা পরিশ্রম করে। তারা পারফর্ম করলে আমরা দল হিসেবে আরও ভালো হবো। কিন্তু সমালোচনা করা সবসময়ই সহজ। আমি এমন কেউ নই যে নিজেদের খেলোয়াড়দের সমালোচনা করবে।’

More News...

সল্টের ‘কালবৈশাখী ঝড়ে’ নববর্ষ বরণ কলকাতার

নেইমার পেলেন বড় সুখবর