সকাল ৯:৫৫, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
জাতীয় • দেশজুড়ে • শিক্ষা ও সাহিত্য • শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন চলছে। গত ১২ নভেম্বর থেকে অনলাইনে এ আবেদন করতে পারছে শিক্ষার্থীরা। এ প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এবার আবেদন ফি ১১০ টাকা। টেলিটকের মাধ্যমে এ ফি পরিশোধ করতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্র জানায়, এ বছর সারাদেশের ৫ হাজার ৬২৫টি সরকারি-বেসরকারি স্কুলে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এসব স্কুলে সর্বমোট ভর্তিযোগ্য শূন্য আসন ১১ লাখ ১৬ হাজার ৩৩৩টি।
মাউশির ভর্তি-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও আবেদন শুরুর পরপরই সরকারি স্কুলে আবেদনের হিড়িক পড়েছে। সেই তুলনায় বেসরকারি স্কুলে শিক্ষার্থীদের ভর্তির আগ্রহ কম। অথচ সরকারি স্কুলের তুলনায় বেসরকারি স্কুলে ১০ গুন বেশি আসন।
সরকারি স্কুলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশি
প্রতি বছর সরকারি স্কুলে ভর্তিতে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যা কম হলেও আবেদন পড়ে তুলনামূলক বেশি। এবার ৬৮০টি সরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে মোট আসন ১ লাখ ৮ হাজার ৬৬২টি।
মাউশির সর্বশেষ তথ্যমতে, আবেদন শুরুর পর প্রথম দুদিনে সরকারি স্কুলে আবেদন করেছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৫৫ জন শিক্ষার্থী। নিয়ম অনুযায়ী—একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৫টি স্কুল চয়েজ (পছন্দ) দিতে পারবে। তবে এ পর্যন্ত আবেদন করা শিক্ষার্থীরা ২ লাখ ১ হাজার ২৬টি চয়েজ ফরম পূরণ করেছে।
বেসরকারি স্কুলে বহু আসন, কম পড়ছে আবেদন
লটারির জন্য অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরুর পর থেকে প্রতি বছরই বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসনের চেয়েও কম আবেদন জমা পড়ে। এবারও সেই ধারা দেখা যাচ্ছে। প্রথম দুই দিনে বেসরকারি স্কুলে মাত্র ৫৩ হাজার ৫৯৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। তারা ১ লাখ ১ হাজার ২৭৬টি স্কুল চয়েজ (পছন্দ) দিয়েছে। এ বছর সারাদেশের ৪ হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি স্কুলে মোট ভর্তিযোগ্য আসন ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭১টি। সেই হিসাবে তুলনামূলক আবেদনের হার কম।
মাউশির মাধ্যমিক বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল বলেন, ‘আবেদন প্রক্রিয়া চলমান। শিক্ষার্থীরা প্রথম থেকে আগ্রহ নিয়ে আবেদন করছে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এ আবেদন চলবে। নির্ধারিত সময়ের পর আর সময় বাড়ানো হবে কি না, তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’