সন্ধ্যা ৭:১৮, ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পাঁচ সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে কলম্বিয়ার ঘন জঙ্গলে চার শিশুকে জীবিত পাওয়া গেছে। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো এ কথা জানিয়েছেন।
একটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের শিশুদেরকেু শুক্রবার কলম্বিয়ার ক্যাকুয়েটা এবং গুয়াভিয়ার প্রদেশের মধ্যবর্তী সীমান্তের কাছে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এই স্থানটিতেই ছোট বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল।
বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটি আমাজনাস প্রদেশের আরাকুয়ারা এবং গুয়াভিয়ার প্রদেশের শহর সান জোসে দেল গুয়াভিয়ারের মধ্যকার একটি রুটে সাত জনকে নিয়ে উড়ছিল। ঘটনায় পাইলট এবং শিশুদের মাসহ তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক মারা যান এবং তাদের মৃতদেহ বিমানের ভিতরে পাওয়া যায়।
১৩, ৯, এবং ৪ বছর বয়সী চারটি শিশু এবং সেইসাথে এখন ১২ মাস বয়সী একটি শিশু ঘটনায় বেঁচে গিয়েছিল। চিকিৎসার জন্য শনিবার ভোরে রাজধানী বোগোটায় পাঠানো হয় তাদের।
তিন মেয়ে এবং এক ছেলের দাদা নার্সিজো মুকুটুই সাংবাদিকদের বলেছেন তাদের উদ্ধারের খবরে তিনি আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘ইয়ারির জঙ্গলে নিখোঁজ হওয়া আমার নাতি-নাতনিদের দাদা হিসেবে এই মুহুর্তে আমি খুব খুশি।’
শিশুরা হুইটোতো সম্প্রদায়ের সদস্য এবং কর্মকর্তারা বলেছেন যে বড় ভাইবোনদের রেইনফরেস্টে কীভাবে বেঁচে থাকতে হয় সে সম্পর্কে কিছুটা জ্ঞান ছিল।
কলম্বিয়ার সেনাবাহিনীর শেয়ার করা ছবিগুলোতে জঙ্গলের মাঝখানে চার শিশুর সঙ্গে একদল সৈন্যকে দেখা গেছে।
পেত্রো এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘পুরো দেশের জন্য আনন্দ! কলম্বিয়ার জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া চারটি শিশু জীবিত পাওয়া গিয়েছে।’ তিনি প্রাথমিকভাবে ১৭ মে টুইটারে জানিয়েছিলেন শিশুদের পাওয়া গেছে কিন্তু পরে পোস্টটি মুছে দিয়ে বলা হয় এই তথ্যটি নিশ্চিত নয়।
শিশুদের উদ্ধারের বিশেষ অভিযানের সামরিক বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল পেড্রো সানচেজ বলেছেন, ‘আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করেছি, স্যাটেলাইট ব্যবহার করে, বিমান ব্যবহার করে, খাদ্য উৎক্ষেপণ করে, যে ফ্লাইয়ারগুলি চালু করেছিল সেগুলি আশা জাগিয়েছিল।’