বিকাল ৪:২৫, ১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য শান্তি চুক্তিতে তার দেশের কোনো ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে তিনি সতর্ক করে দেন, ভূমি ছাড়তে স্বীকার করার অর্থ হবে রাশিয়া ফিরে আসতে পারে। পশ্চিমা অস্ত্র শান্তিকে আরও কাছাকাছি আনবে বলে মন্তব্য করেন জেলেনস্কি। খবর বিবিসির।
জেলেনস্কি আরও বলেন, একটি পূর্বাভাসিত সিরিজ আক্রমণ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
‘রুশ আক্রমণ ইতিমধ্যে বিভিন্ন দিক থেকে ঘটছে,’ তিনি বলেন।
‘অবশ্যই, আধুনিক অস্ত্র শান্তির গতি বাড়ায়। অস্ত্রই একমাত্র ভাষা যা রাশিয়া বোঝে,’ জেলেনস্কি বিবিসিকে বলেন।
আন্তর্জাতিক সমর্থন জোরদার করার জন্য এবং দেশকে রক্ষা করার জন্য আধুনিক অস্ত্র চাইতে জেলেনস্কি গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য এবং ইইউ নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট যখন আধুনিক যুদ্ধবিমান চেয়েছিলেন, তখন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছিলেন, ‘কিছুই আলোচনার বাইরে নেই’।
কিন্তু পশ্চিমা অস্ত্র যে গতিতে এসেছে তাতে কিয়েভ ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়েছে। গত মাসে জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলির প্রতিশ্রুত যুদ্ধ ট্যাঙ্কের সরবরাহ এখনও যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছাতে কয়েক সপ্তাহ লাগবে বলে মনে করা হয়।
বেলারুশের নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর ‘যদি একজন ইউক্রেনীয় সৈন্য সীমান্ত অতিক্রম করে তবে তার অঞ্চল থেকে রাশিয়ান সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধ করবে- এই হুমকির প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি আশা করি (বেলারুশ) যোগ দেবে না (যুদ্ধে)। যদি তা হয়, আমরা লড়াই করব এবং আমরা বেঁচে থাকব।
আবার আক্রমণের জন্য বেলারুশকে একটি মঞ্চের পোস্ট হিসাবে ব্যবহার করতে রাশিয়াকে অনুমতি দেওয়া একটি বিশাল ভুল হবে বলে হুঁশিয়ার করেন জেলেনস্কি।
রাশিয়ান বাহিনী ১২ মাস আগে বেলারুশ থেকে তাদের পূর্ণ মাত্রার আক্রমণের একটি অংশ শুরু করেছিল। তারা দক্ষিণে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে ড্রাইভ করেছিল কিন্তু ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পিছু হটতে হয়।