ভোর ৫:০৩, ১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
ইউক্রেনের কৌশলগত এবং রাশিয়ার দখল করা একমাত্র প্রাদেশিক রাজধানী খেরসনের মূল ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করেছে রাশিয়া। শুক্রবার এটি সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছে মস্কো। ইউক্রেন বলছে, তারা রাশিয়ানদের পরিত্যক্ত কয়েক ডজন ল্যান্ডমাইন-আবর্জনাপূর্ণ বসতি পুনরুদ্ধার করেছে। খবর রয়টার্সের।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা দিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীর থেকে সৈন্যদের প্রত্যাহার শেষ করেছে। মস্কো পশ্চাদপসরণ ঘোষণা করার মাত্র দুই দিন পর এমনটা করেছে।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি, তবে ঘোষণাটি ইউক্রেনের প্রতিবেদনের বিপরীত বলে মনে হবে। কেননা হাজার হাজার রাশিয়ান সেনা এখনও নদীর পশ্চিম দিকে রয়েছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেছেন, রাশিয়ার খেরসন থেকে সরে আসতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে। তার অনুমান অনুসারে, এই অঞ্চলে রাশিয়ার এখনও ৪০ হাজার সৈন্য রয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যে উদ্বৃতি দিয়ে তিনি আরও জানিয়েছেন, রুশ বাহিনীরা এখনো শহর এবং এর আশেপাশে রয়ে গেছে।
রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি এক ভাষণে বলেছিলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী দক্ষিণে অগ্রসর হয়ে ৪১টি বসতি মুক্ত করেছে, যা প্রায় নয় মাসের যুদ্ধে নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে দ্রুত এবং সবচেয়ে নাটকীয় পরিবর্তনগুলির একটি নির্দেশ করে।
খেরসনের ইউক্রেনীয় গভর্নর ইয়ারোস্লাভ ইয়ানুশেভিচ টেলিগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওতে দেখা গেছে খেরসনের উপকণ্ঠ থেকে প্রায় ২০ কিমি দূরের গ্রাম ব্লাহোদাত্নকে পুনরুদ্ধার করেছে ৫৯ তম মোটরচালিত ব্রিগেডের সৈন্যরা। সেখানে তারা ইউক্রেনীয় পতাকা নেড়েছে।
পোসাদ পোকরোভস্কি নামক এক গ্রামে রয়টার্সের প্রতিনিধিরা পরিদর্শন করেছে। তারা দেখেছে গ্রামটিতে ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবন এবং খেরসন যাওয়ার মহাসড়কে বসা একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ট্রাক পূর্বের সামনের লাইন চিহ্নিত করেছে।
এছাড়াও রাস্তার দুপাশের বাড়িঘর ও ভবন শেলফায়ারে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং মহাসড়কের পাশের গাছের গুঁড়ি থেকে ঝুলে থাকা ডালগুলো ভেঙে গেছে। ইউক্রেনীয় সৈন্যরা ইউক্রেনীয় সামরিক যানবাহন পাশ কাটিয়ে চেকপয়েন্ট পরিচালনা করছে।