ভোর ৫:৩৫, ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঝরনা দেখে ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কা, লাশ হলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ১১ জন

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে খৈয়াছড়া ঝরনা দেখে ফেরার সময় একটি লেভেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় শিক্ষার্থীবাহী মাইক্রোবাসের ১১ আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাতজন। নিহতদের মধ্যে চারজন শিক্ষক ছিলেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে বড়তাকিয়া রেল স্টেশনের উত্তরে খৈয়াছড়ি ঝরনার পাশে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিহতরা হাটহাজারী উপজেলার জোগীরহাট এলাকার আর অ্যান্ড জে প্লাস কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। ঝরনা দেখতে আজ ভোরে কোচিং সেন্টার এসএসসি পরীক্ষার্থী হিসাম, আয়াত, শওকত, মারুফ, তাসমির, হাসান, প্রথম বর্ষের ছাত্র ইমন, রিদয়, মাহিন, কোচিং সেন্টারের শিক্ষক জিসান, রেদোয়ান, সজীব ও রাকিবসহ ১৮ জন মাইক্রোবাস নিয়ে বের হন। ফেরার পথে প্রাণ যায় ১১ জনের। দুর্ঘটনায় আহত ৭ যাত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- মাইক্রোবাসের হেল্পার তৌকিদ ইবনে শাওন, শিক্ষার্থী তছমির পাভেল, মোহাম্মদ সৈকত, তানভীর হাসান হৃদয়, আয়াত ও মোহাম্মদ ইমন। চমেকের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিবেদিতা ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বড়তাকিয়া রেল স্টেশনের উত্তরে অরক্ষিত রেল ক্রসিং দিয়ে মাইক্রোবাসটি যাওয়ার সময় ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি মাইক্রোবাসটিকে প্রায় ১ কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলী জানান, মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি বড়তাকিয়া ক্রস করার সময় লাইনে ওঠে যায় মাইক্রোবাস। এ সময় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি কিছু দূর চলে যায়। লেভেলক্রসিংয়ের বাঁশ ঠেলে মাইক্রোবাস লাইনে উঠলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।