রাত ৩:৫৬, ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আগে কোরবানি দেয় না এমন মানুষ থাকত। তাদের মধ্যে মাংস বিলিয়ে দেওয়া হতো। এবার মাংস বিলিয়ে দেওয়ার জন্য মানুষ পাননি বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী। এর আগে তিনি ‘এক নজরে বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ মোড়ক উন্মোচন করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সব সময় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কাছে, বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার কাছে ছুটে যায়। কিন্তু তারা কাউকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসানোর অধিকার রাখে না। এ দেশের মালিক হলো জনগণ। জনগণই ক্ষমতার মালিক এবং তারাই প্রতিনিধি নির্বাচন করে।
দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের নাক গলানো সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশিরা নাক গলাতে না চাইলেও বিএনপি তাদের নাকটা নিয়ে ওদের কাছে যায়। এটি দেশকে ছোট করার শামিল। আমি বিএনপিকে অনুরোধ করব, বিদেশিদের কাছে দৌড়ঝাঁপ না করে জনগণের কাছে যাওয়ার জন্য। সেটি বিএনপির জন্য মঙ্গল হবে।’
বরাবরই গ্রামের বাড়িতে কোরবানি দিয়ে থাকেন ড. হাছান মাহমুদ। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী কোরবানির মাংস বিলিবন্টন করেন। কিন্তু এবার গ্রামের বাড়িতে কোরবানির মাংস দেওয়ার জন্য মানুষ পাননি বলে জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে দেখতাম, কোরবানি দেয় না এমন মানুষ থাকত। তাদের মধ্যে মাংস বিলিয়ে দেওয়া হতো। এখন আমাদের পাড়ায় মাংস বিলিয়ে দেওয়ার জন্য মানুষ পাইনি। অন্য জায়গায় গিয়ে বিলাতে হয়েছে।’
পোস্তার কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এ বছর ৩০ শতাংশ কোরবানি কম হয়েছে। সংবাদপত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার আট লাখ বেশি কোরবানি হয়েছে। আমি গ্রামের বাড়িতেই কোরবানি করি। আমার গ্রামেও গত বছরের চেয়ে এবার বেশি কোরবানি হয়েছে।’
ব্যবসায়ীদের চামড়া সংগ্রহের পরিসংখ্যান দিয়ে কোরবানির পশুর সংখ্যা নির্ধারণ করা যাবে না বলে মনে করেন মন্ত্রী। বলেন, মূল্য কম হওয়ার কারণে মৌসুমি খুচরা ব্যবসায়ীরা অনেকে চামড়া কিনতে যাননি। আবার কোরবানির চামড়ার মূল্য কম হওয়ায় অনেকে চামড়া পুঁতে ফেলেছে এমন ঘটনাও ঘটেছে। চামড়া যারা সংগ্রহ করেছে তাদের কাছে পরিসংখ্যান ভুল হতে পারে।