রাত ৪:৪৭, ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। আর বিএনপি ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বার বার বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এখন তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য মায়াকান্না করে।
মঙ্গলবার বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা এখন তত্ত্বাবধায়কের কথা বলছে। অথচ বিএনপি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করেছিল। তখন বিরোধী দল ও দেশের সর্বস্তরের মানুষ ওই নির্বাচন বর্জন করে। তারপরও খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুক-রশিদদের দল ফ্রিডম পার্টিকে নিয়ে নির্বাচন করেছিল। ১৫০ জন নিরীহ দেশবাসীকে হত্যা করে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুককে বিরোধীদলীয় নেতা বানিয়ে সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু গণআন্দোলনের মুখে কয়েক দিনের মধ্যেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল খালেদা জিয়ার সে সরকার। তখন ক্ষমতা ছাড়ার পূর্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মেনে নিয়ে সংসদে মধ্যরাতে একক অধিবেশনে নিজেদের মতো করে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সংযোজন করে বিএনপি।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতাদেরকে বুঝতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুটি এখন একটি ডেড ইস্যু এবং পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড চ্যাপ্টার। জল বহুদূর গড়িয়ে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে সেই একই জায়গায় হাবুডুবু খেতে থাকলে বিএনপিকে গভীর জলে ডুবে মরতে হবে। গণতন্ত্রের নৌকা বহুদূর এগিয়ে গেছে, তাতে উঠতে হলে অনেকটা পথ সাঁতরে পাড়ি দিতে হবে। এখনো সময় আছে, বিএনপিকে সংবিধান ও আইনের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে গণতান্ত্রিক রাজনীতির সঠিক ধারায় পথ চলার আহ্বান জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পবিত্র সংবিধান হলো দেশের অস্তিত্ব, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষা কবচ। সংবিধান অনুযায়ীই এদেশের সব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সংবিধানসম্মতভাবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে এবং যথা সময়েই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।
বিএনপি যদি তথাকথিত আন্দোলনের নামে এদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং আবারো ২০১৩-১৪-১৫ ও ২০১৮ সালের মতো অগ্নিসন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করতে চায় তাহলে তাদেরকে ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে।জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলেও হুশিয়ারি দেন ওবায়দুল কাদের।