সকাল ৬:০৩, ৭ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:

পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা তৈরিতে শীর্ষে বাংলাদেশ

বিশেষ প্রতিবেদন : একটা সময় বাংলাদেশের পোশাক কারখানা মানেই ছিল শ্রমঘেরা ঘিঞ্জি এলাকা। যেখানে থাকতো না কোনো স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। থাকতো না শ্রমিকের নিরাপত্তা। কিন্তু সময় বদলেছে। পাল্টেছে দেশের পোশাক শিল্প কারখানার চিত্র।

রানা প্লাজা এবং তাজরীন দুর্ঘটনার পর, যে ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছিল, তার সুফলও মিলছে তৈরি পোশাক খাতে। একের পর এক গড়ে উঠেছে সবুজ কারখানা। যেখানে শ্রমিকরা কাজ করছেন নিশ্চিন্তে। সুই-সুতো আর যন্ত্রের গতির সাথে, জানালার ধারে সবুজে ঘেরা প্রকৃতি, কাজের মধ্যেও স্বস্তি এনে দেয় শ্রমিকদের।

জানা গেছে, পরিবেশবান্ধব কারখানার মান ও সনদ দেয়া, যুক্তরাষ্ট্রের ‘গ্রিনবিল্ডিং কাউন্সিলের’ হিসেবে বাংলাদেশে সবুজ পরিবেশবান্ধব, পোশাক ও বস্ত্র কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৪এ। এছাড়াও সনদ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে আরও প্রায় ৫শ সবুজ কারখানা।

বিস্ময়কর হলেও মানের বিচারে শিল্প ক্যাটাগরিতে বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ ১০০টি কারখানার ৩৯টিই এখন বাংলাদেশের দখলে। প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাতে এর সংখ্যা ১০ শতাংশেরও কম। পোশাক কারখানায় বিপুল বিনিয়োগ বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে বড় ভূমিকা রাখছে।

পরিবেশবিদরা বলছেন, পরিবেশবান্ধব স্থাপনায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুত সাশ্রয় এবং ৪০ শতাংশ পর্যন্ত পানির ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব। ফলে জ্বালানির এমন সাশ্রয় দীর্ঘ মেয়াদে বড় সুফল বয়ে আনবে সবুজ কারখানার উৎপাদনশীলতায়।

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী দিনে তৈরি পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে হলে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে শ্রমিকের কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তার বিষয়ে।

উদ্যোক্তরা বলছেন, কর্ম পরিবেশের উন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বাড়াতে সরকারের বিশেষ নীতি ও সহায়তার প্রয়োজন। আর এতে করে উৎপাদন যেমন বাড়বে, বাড়বে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ও।