রাত ১০:২১, ১৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:

বান্দরবানে নিখোঁজের দুইদিন পর নিখোঁজ পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার


বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানের থানচির নাফাকুম জলপ্রপাতে গোসলে নেমে নিখোঁজের দুইদিন পর পর্যটক মো. ইকবাল হোসেনের (২৪) মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

রোববার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ স্টেশনের ডুবুরি দলের প্রধান রহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে জলপ্রপাতের গভীর পানির নিচে গুহার ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত ইকবাল হোসেন ঢাকা ডেমরা থানার রসুলনগর গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ১৭ জনের একটি পর্যটকদল ঢাকা থেকে আলীকদম হয়ে তিন্দু গ্রোপিং পাড়া আসে। সেখান থেকে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদন ও নিবন্ধিত গাইড ছাড়াই তারা নাফাখুমের ঝরনা এলাকায় গিয়ে স্থানীয় একটি রিসোর্টে অবস্থান করে এবং নাফাকুম জলপ্রপাত এলাকায় ঘুরতে যান। গোসলে নামার একপর্যায়ে ইকবাল হোসেন পানির স্রোতে তলিয়ে নিখোঁজ হন। পরে দীর্ঘ অভিযানের একপর্যায়ে আজ বিকাল ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

থানচি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা তরুণ বড়ুয়া বলেন, নাফাখুম জলপ্রপাত পাথুরে ও তীব্র স্রোতপূর্ণ এলাকা। অভিজ্ঞ গাইড ছাড়া সেখানে ভ্রমণ, ছবি তোলা বা গোসল করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। পর্যটকদের গাইড ছাড়া না যাওয়ার জন্য আমরা বারবার আহ্বান জানাই।

ডুবুরি দলের প্রধান রহিদুল ইসলাম জানান, গভীর গুহার ভেতরে মরদেহ আটকে ছিল। তিনজন ডুবুরি অক্সিজেন নিয়ে প্রায় ৮ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় মরদেহটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই।

থানচি থানার ওসি নাছির উদ্দিন মজুমদার বলেন, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রিয়াজুলসহ পুলিশের ছয় সদস্য মরদেহ নিয়ে থানায় ফিরছেন। থানচি থেকে নাফাখুম পর্যন্ত যাতায়াতে প্রায় ১০ ঘণ্টা পায়ে হাঁটার প্রয়োজন হয়। মরদেহটি সোমবার সকালে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।