দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত, পুলিশ বলছে দোষ ছিল অ্যাম্বুলেন্সটির

দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত, পুলিশ বলছে দোষ ছিল অ্যাম্বুলেন্সটির

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদরের পূর্ব মিয়াপাড়া এলাকায় ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সটিকে দায়ী করছে হাইওয়ে থানা পুলিশ। পুলিশ বলছে ভেকু বহনকারী ট্রাক সঠিক লেনে থাকলেও উল্টো লেনে গিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ায় অ্যাম্বুলেন্সটি। এদিকে আহত ট্রাক ড্রাইভারের ভাষ্যেও উঠে এসেছে এমন তথ্য।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের সদর উপজেলার পূর্ব মিয়াপাড়া এলাকায় ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয় ৪ জন। এসময় দুমড়ে মুচড়ে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরও একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা মোট চারজন ও আহত ৩ জন।

নিহতরা হলেন, খুলনার সামচুল হক রোডের বাসিন্দা সাবেক নৌ সদস্য সামচুল আলম ও রাজবাড়ীর কালুখালির বোয়ালপাড়া গ্রামের গুলজার খানের ছেলে অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার মমিন (৪০), পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জুয়েল (৩০) ও রাজবাড়ীর ফয়সাল (৩৫)।

আহতরা হলেন, মো. কামাল হোসেন (৪০), মোহাম্মাদ আলী শেখ (৬০) ও বায়েজিদ সিকদার (২৮)। সবাই ঢাকার কেরাণীগঞ্জের মডার্ন সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালের স্টাফ।

প্রত্যক্ষদর্শী সেলিম সিকদার বলেন, সকালে চায়ের দোকানে বসেছিলাম। এসময় বিশ্বরোডে তাকিয়ে দেখি খুলনা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছে একটি অ্যাম্বুলেন্স। এসময় উল্টো দিক থেকে আসা ভেকু বোঝাই ট্রাক অ্যাম্বুলেন্সটিকে দেখে রাস্তার পাশে এক চাকা নামিয়ে গতি কমিয়ে ফেলে। তারপরও অ্যাম্বুলেন্সটি নিজের লেন ছেড়ে উল্টো লেনে গিয়ে ট্রাকের মুখোমুখি স্বজরে ধাক্কা মারে। পরে আমরা দৌড়ে গিয়ে দেখি অ্যাম্বুলেন্সে থাকা অনেকেরই জ্ঞান নেই। পরে আমরা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।

আহত ট্রাক ড্রাইভার মোহাম্মদ আলী বলেন, ঢাকা থেকে মাটি কাটা ভেকু বোঝাই করে খুলনার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় কবলিত এলাকায় পৌঁছালে দেখি একটি অ্যাম্বুলেন্স তার লেন ছেড়ে উল্টো লেনে চলে আসছে। এসময় এমন পরিস্থিতি দেখে আমি আমার ট্রাক রাস্তার পাশে এক চাকা নামিয়ে দেই। তারপরও অ্যাম্বুলেন্সটি এসে আমার ট্রাকের সামনে স্বজরে ধাক্কা দেয়। পরে আমার আর কিছু মনে নেই। তবে অ্যাম্বুলেন্সকে দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তাই উল্টো লেনে আসছিল।

গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মারিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে আমাদের কাছে মনে হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সের দোষেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা সেভাবেই প্রতিবেদন দিয়েছি। বিষয়টি যেহেতু হাইওয়ে পুলিশ দেখছে, তাদের তদন্তেও এ বিষয়টি উঠে আসবে।

ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক খান শরিফুল ইসলাম বলেন, ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জানা গেছে দোষ অ্যাম্বুলেন্সটির। অ্যাম্বুলেন্সটি নিজের লেন ছেড়ে উল্টো লেনে এসে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ায়। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

More News...

বিড়ি শিল্পের শুল্ক প্রত্যাহারসহ পাঁচ দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন

কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ