সরকারের পদত্যাগের ঘোষণার আগে সংলাপের প্রশ্ন উঠবে না : মির্জা ফখরুল

সরকারের পদত্যাগের ঘোষণার আগে সংলাপের প্রশ্ন উঠবে না : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকার যাই বলুক না কেন, একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তার আগে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই ঘোষণা সরকারকে সবার আগে দিতে হবে। এবং পদত্যাগ করে দিতে হবে। এ ছাড়া সংলাপের কোন প্রশ্ন উঠবে না।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপির প্রতিনিধি দল।

মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের অধিকার, কথা বলার অধিকার, বাক স্বাধীনতা এগুলো পুনরুদ্ধার করার জন্য আমরা আন্দোলন করছি। এই সরকারের ক্ষমতা আসার পর থেকেই অত্যন্ত সচেতনভাবে বাংলাদেশের সকল অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের আন্দোলন একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই বছরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই আওয়ামী লীগ সরকার এই বছরেই একটি পাতানো নির্বাচন করার জন্য পায়তারা করছে। পাতানো নির্বাচন এ দেশের মানুষ কখনো গ্রহণ করবে না। আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।

তিনি বলেন, আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার আগে সম্মিলিতভাবে যৌথ ঘোষণাপত্র ঘোষণা করবো। আর এজন্যই আজকের বৈঠক।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কোনো ফরম্যাটে সংলাপে যেতে চাচ্ছি না। একটা তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ যাই বলুক না কেন? নির্দলীয় একটি সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তার আগে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই ঘোষণা সরকারকে সবার আগে দিতে হবে। এবং পদত্যাগ করে দিতে হবে। এ ছাড়া কোনো সংলাপের প্রশ্ন উঠবে না।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে যদি আবার ক্ষমতায় আসে। আমরা তাতে স্বাগত জানাবো।

মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী নির্বাচনটি গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করবে জাতির অস্তিত্ব থাকবে কি থাকবে না। জাতির স্বাধীনতা থাকবে কি থাকবে না। সেজন্য আমরা বলেছি, নির্বাচনটা অবশ্যই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু।

১২ দলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে ওলামায় ইসলাম মহাসচিব মুফতি গোলাম মুহিউদ্দিন ইকরাম, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাড. আজহারুল ইসলাম, জাগপার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব আবদুল করিম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সভাপতি ড. সৈয়দ জাভেদ মোহাম্মাদ সালেহ উদ্দিন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি মহাসচিব অ্যাড. আবুল কাশেম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন।

More News...

কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দুর্নীতি মামলা: স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক এমডির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা