কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরুপ সৌন্দর্য্যে বিমোহিত ঠাকুরগাঁওবাসী

কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরুপ সৌন্দর্য্যে বিমোহিত ঠাকুরগাঁওবাসী

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরুপ সৌন্দর্য্যে বিমোহিত ঠাকুরগাঁওবাসী। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। কাঞ্চনজঙ্ঘা একটি পর্বতশৃংঘ। আর এই পর্বতশৃঙ্গের অপরূপ দৃশ্যে মুগ্ধ হোন যে কেউ। যাদের পক্ষে সরাসরি এই পর্বতশৃঙ্গে যাওয়ার সৌভাগ্য হয় না, তারা একটু হলেও দূর থেকে হেমন্তের শেষে ও শীত ঋতুর শুরুতে দেখতে পান এই কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ।
প্রতিবছর দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ে শীতের আগমনের সময় এই পর্বতটি দেখা যায়।

এবারও উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে শুভ্র সাদা বরফে আচ্ছাদিত পর্বতমালাটি দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ভোরের আঁধার কেটে সূর্য্যের স্নিগ্ধ আলোর রশ্মিতে ও বিকাল থেকে সন্ধ্যার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত দেখা যায় পৃথিবীর তৃতীয়তম এবং হিমালয়ের দ্বিতীয়তম শৃঙ্গ এই পর্বতটি।
বছরের কার্তিকের প্রথমে বৃষ্টি পাত হলে আকাশে ধূলিকণা কম হলে এবং কুয়াশার প্রাদুর্ভাব কম হলে অনেক দূরের কাঞ্চনজঙ্ঘাকে পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। এবার এ ধরনের আবহাওয়া বিরাজমান থাকায় ঠাকুরগাঁও থেকে এটি দেখা যাচ্ছে।

তাছাড়া বিগত কয়েক যুগ ধরে এই সময়ে এই জেলা থেকে এই পর্বতশৃঙ্গটি মানুষ দেখে উপভোগ করে। জানা যায়, কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতটি অবস্থিত ভারতের সিকিম ও নেপালে। এর উচ্চতা ২৪ হাজার ১৬৯ ফুট বা ৮ হাজার ৫৮৬ মিটার।

পর্যটকদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় একটি আকর্ষণ কাঞ্চনজঙ্ঘা। ভারতের অন্যতম শৈল শহর দার্জিলিং, কালিম্পং এর প্রধান আকর্ষণও কাঞ্চনজঙ্ঘা। তাইতো দূর থেকে সূর্য্যের আভায় পর্বতটির একেক সময় একেক রূপ দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন ছোট থেকে শুরু করে যেকোন বয়সের মানুষ।
আর এমন পর্বতের দৃশ্য দেখতে ফাঁকা মাঠ, উঁচু দালান ও ফসলের মাঠে সাত সকালে, দুপুরে ও বিকালে অবস্থান করেন অনেকে। এমনকি দূর দূরান্ত থেকে অনেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য একপলক দেখতে ছুটে আসছেন ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ে।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) হাজীপাড়ার আশরাফুজ্জামানের ৫ তলা বিল্ডিং এর ছাদে উঠে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে সুস্পষ্টভাবে অবলোকন করে মাহাফুজুর রহমান ভীষণ খুশি। আজহার, সজীব, রাজিউরের মতো অনেকে চাকুরির সুবাদে ঢাকায় থাকলেও শীতের এই সময় ঠাকুরগাঁওয়ে বেড়াতে আসেন ছেলে মেয়েদের নিয়ে। তাদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় বস্তু এখন কাঞ্চনজঙ্ঘাকে স্বচোখে অবলোকন করা। অনেকে বলেন, প্রতিবছর এই সময়ে আমাদের ঠাকুরগাঁওয়ে ফাঁকা জায়গায় ও উঁচুস্থানে বা বিল্ডিং থেকে সকালে ও বিকালে আবহাওয়া পরিষ্কার ও ভালো থাকলে পরিস্কার দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা।

ঢাকা থেকে আসা আঃ রহিম বলেন, আমি ছেলে মেয়েদের নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বুড়ির বাঁধ থেকে এই পর্বতমালাটি দেখি। ডাঃ মামুন আশরাফী বলেন, আমি টাঙ্গন বাঁধ থেকে খুবই পরিস্কার ভাবে এই পর্বতশৃহ দেখি এবং ক্যামেরা বন্দী করি।

সদর উপজেলার রুহিয়া মন্ডলাদাম বিল, মহেশপুর পশ্চিম কান্দর ও সেনিহারী-মহেশপুরের বিলেরডাঙ্গী থেকে অতি পরিস্কারভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় বলে, ফেলানপুরের বর্ষীয়ান সিরাজুল ইসলাম আমাদেরকে নিশ্চিত করেন।

সর্দারপাড়ার দেবনাথ চন্দ্র বলেন, প্রতিদিন আমার কর্মস্থল গুন্জুরাহাটে যাওয়ার সময় আমি সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখি। এতে আমি অনেক আনন্দিত হই, কারণ আমার মত গরীব মানুষ ভিসা করে নেপাল গিয়ে দেখা সম্ভব না। তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাই।

More News...

কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দুর্নীতি মামলা: স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক এমডির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা