উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নের তিন লাখ মানুষের সুপেয় পানির জন্য ৩ হাজার ৭০০ গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। তার মধ্যে ১ হাজার ৪০০ নলকূপ দীর্ঘদিন ধরে অকজো হয়ে রয়েছে।
অপরদিকে, অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামায় পুকুর পানিশূন্য ও গভীর নলকূপ থেকে পানি ওঠে না। এছাড়া সচল গভীর নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবণ থাকায় তা পান করা যায় না।
উপজেলার বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, সুপেয় পানির অভাবে দৈনন্দিনের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। গ্রামের মানুষ বাধ্য হয়ে অনিরাপদ উৎস থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করছেন। ফলে ডায়রিয়া-আমাশয়সহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ বাড়ছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, অতিখরা এবং বৃষ্টি না হওয়ায় অধিকাংশ গভীর নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাওয়ার পর অকেজো নলকূপগুলো মেরামত করা হবে।