লকডাউনে ইফতার কেনাবেচা নিয়ে নেই  উৎসবের আমেজ

লকডাউনে ইফতার কেনাবেচা নিয়ে নেই  উৎসবের আমেজ
সাঈদুর রহমান চৌধুরী,চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি রোধে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে মাহে রমজানে  চলছে ইফতার সামগ্রীর বেচাকেনা। তবে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন হওয়ায় এবার নগরবাসীর ভরসা অলিগলির হোটেল ও রেস্তোরাঁর ইফতার সামগ্রী।তাই নগরীর বিভিন্ন এলাকাতে স্বাস্থ্যসম্মত বাহারি ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা।
তবে এসব দোকানে আগের মতো নেই সাজসজ্জা ও জৌলুস ।নেই ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে হাকডাক।লকডাউনের কারণে দোকানগুলোতে ভিড় চোখে পড়েনি ।যেন ইফতার কেনাবেচা নিয়ে ছিল না চিরচেনা উৎসবের সেই আমেজ। বেচাকেনাও হচ্ছে কম।
বেচাকেনা কম হওয়ার বিক্রেতাদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা।নগরীর মুরাদপুর এলাকার একজন রেস্টুরেন্ট মালিক জানান,’আমরা সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে ইফতার বিক্রি করতেছি।তবে লকডাউনের কারণে বেচাকেনা কম।’
গত রমজানে ইফতার বিক্রি বন্ধ থাকলেও এবারে সীমিত আকারে বেচাবিক্রির সুযোগ রয়েছে।তবে, আগের মতো বেচাকিনা না থাকায় ছিল না বিক্রেতার মুখে হাসি। লকডাউনের ঘরের বাইরে যেতে বিধিনিষেধ থাকায় অনেকেই এখন অনলাইনে ইফতার বেচাকেনা করছেন।
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন  ইফতার বিক্রয়ের বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা যায়,লকডাউনে পাল্টে গেছে ইফতারের বাজারের দৃশ্য।অভিজাত হোটেল-রেস্টুরেন্ট থেকে ফুটপাত সবখানেই একই চিত্র। জাঁকজমকপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী  ইফতারের বাজার এখন সম্পূর্ণ   ভিন্ন।
নগরীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে ইফতার কিনতে আসা মানুষদের দ্রুত ঘরে ফিরতে দেখা যায়। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকায় স্বাস্থবিধি মেনে চলছে জনগণ।তবে মাঝেমধ্যে  স্বাস্থ্য বিধিনিষেধের  কথা ভুলে যাচ্ছে অনেকেই।
পবিত্র রমজানে করোনার কারনে লকডাউনের এমন পরিস্থিতিতে খুশি নন সাধারণ জনগণ। পবিত্র রমজানের উছিলায় যেন করোনামুক্ত হয় বিশ্ব,এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

More News...

১৭৩ জন বাংলাদেশী মিয়ানমার কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন

বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে পাবনায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান