রাত ১:৫৩, ৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:

ইউপি সদস্য থেকে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত জবাবদিহি করতে হবে : তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের লক্ষ্য দেশে জবাবদিহির পরিবেশ তৈরি করা। সমাজের প্রতিটি স্তরে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, জবাবদিহি থাকতে হবে একদম ইউনিয়নের একজন ইউপি সদস্য থেকে মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত। সবাইকে জবাবদিহির ভেতর নিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি জায়গায় জবাবদিহির পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এর আগে কোনো জবাবদিহি ছিল না দেশে।

গতকাল শনিবার ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি ঘোষিত ‘৩১ দফা বাস্তবায়ন ও জনসম্পৃক্তকরণ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সদর উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামের হলরুমে আয়োজিত এ কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তারেক রহমান। কর্মশালায় অংশ নেন বিএনপির ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার নেতারা।

তারেক রহমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের তথাকথিত নির্বাচন দেখেছেন। আরও দেখেছেন এই ফরিদপুরে সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কীভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। দেশে জবাবদিহির জায়গা থাকলে এই ২ হাজার কোটি টাকা তারা কখনোই পাচার করতে পারত না।

জনগণের আস্থা ধরে রাখতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপির প্রতি জনগণের আস্থা আছে বলে ঘরে বসে থাকলে সেই আস্থা ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে যাবে। সুতরাং প্রথম শর্ত হচ্ছে, জনগণকে আস্থায় রাখা এবং আস্থায় রাখতে হলে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমাদের উঠতে হবে এবং চলতে হবে। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ কিছু ভুল করছে, সেই ভুল থেকে তাদের শুধরে যেতে হবে। অথবা তাদের সতর্ক করতে হবে। ক্ষেত্রবিশেষে আমাদের আরও কঠোর হতে হবে। মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক দলের পুঁজি হচ্ছে জনগণের আস্থা। এই পুঁজি যদি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সবকিছু নষ্ট হয়ে যাবে। দেশের অধিকার প্রতিষ্ঠাতা করতে হলে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গত দুই-তিন মাসে দেখেছি, বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলছেন। তারা যে সংস্কারের কথা বলছেন, তা আমাদের এই ৩১ দফার মধ্যেই রয়েছে। আমরা যে মূল বিষয় বলেছি, তারা একই কথা বলছেন। বিএনপি এমন একটি সময়ে এই দফাগুলো উপস্থাপন করেছে, যখন আমরা জানতাম স্বৈরাচারের পতন হবেই। হয়তো সঠিক সময়টা জানতাম না। আমরা যে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, এটিই হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, সহসাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাসকুর রহমান মাসুক, মো. সেলিমুজ্জামান সেলিম, তারেক জিয়ার উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমীন, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলী, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা প্রমুখ।