রাত ৯:০৯, ৭ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:

প্রেমিককে ৫ টুকরো করা সেই শাহনাজের বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীর টিকাটুলি এলাকায় সজীব হাসান নামে ৩৩ বছর বয়সী এক যুবকের পাঁচ টুকরো লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওয়ারী থানায় করা মামলাটিতে একমাত্র আসামি করা হয়েছে নিহত ওই যুবকের মধ্যবয়সী প্রেমিকা শাহনাজ পারভীনকে।

ওয়ারী থানা-পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ ঘটনায় শাহনাজ পারভীন নামে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, অপরারেশন) সাজ্জাদ রুমন। তিনি বলেছেন, ওই নারী এখন পর্যন্ত একাই হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এরপরও হত্যার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছেন কি না, তা তদন্ত করে দেখবে পুলিশ। শুক্রবার ওই নারীকে আদালতে তোলা হতে পারে।

সজীবের লাশ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। নিহত যুবকের পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা থানায় যোগাযোগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সায়েদাবাদের কে এম দাস লেনের একটি ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় সজীবের খণ্ড খণ্ড মরদেহ। প্রতিবেশীরা বলছেন, পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সায়েদাবাদের কে এম দাস লেনের ছয়তলা ভবনের চতুর্থ তলায় বাস করে আসছিলেন শাহনাজ ও সজিব। শাহনাজকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন সজিব।

পুলিশ জানায়, শাহনাজ তিন দিন ধরে নিখোঁজ জানিয়ে গত মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) তার স্বামী ওয়ারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি হওয়ার পর মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে শাহনাজের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সজীবের বাসায় যায় পুলিশ। সেখানে পারভীনকে পাওয়ার পাশাপাশি সজীবের পাঁচ টুকরো মরদেহ উদ্ধার হয়। এক কক্ষের বাসায় সজীব একা থাকতেন। হস্তশিল্পের কাজ করতেন তিনি। তার বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহনাজ জানান, দুজনের ঝগড়ার সময় সজীব তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছুরিটি নিয়ে নেন শাহনাজ। এরপর তিনি সজিবকে ছুরি মারেন। এতে মারা যান সজিব।

হত্যার পর রান্নাঘর থেকে বঁটি এনে সজীবের মরদেহ পাঁচ টুকরো করেন শাহনাজ।