ভোর ৫:২২, ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় সংসদের সবশেষ স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ‘সাধারণ পাসপোর্টের’ জন্য যে আবেদন করেছেন তার কার্যক্রম ‘স্থগিত’ রেখেছে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ কর্মকর্তা বলেন, “সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইনের পাসপোর্ট আবেদনটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।”
পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের এক বার্তায় বলা হয়, “সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর নামে কোনো অ্যাক্টিভ পাসপোর্ট নেই। তার অনুকূলে ইস্যুকৃত কূটনৈতিক পাসপোর্টটি অন্যান্যদের কূটনৈতিক পাসপোর্টের মত আগেই বাতিল করা হয়েছে।
“প্রায় মাস দেড়েক আগে তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্ট জমা দিয়ে সাধারণ পাসপোর্ট প্রাপ্তির জন্য আবেদন করেন। পাসপোর্ট প্রাপ্তির আবেদন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। বিভিন্ন পর্যায়ে যাচাই-বাছাই সম্পাদনের পরই কোনো ব্যক্তির অনুকূলে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়।”
ওই বার্তায় এও বলা হয়, শিরীন শারমিন চৌধুরী সাধারণ পাসপোর্টের জন্য যে আবেদন করেছেন তা প্রাথমিক পর্যায়েই রয়ে গেছে। তাকে কোনো পাসপোর্ট দেওয়াা হয়নি।
জানতে চাইলে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নূরুল আনোয়ার বলেন, “পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেওয়া বক্তব্যই আমার বক্তব্য।”
শিরীন শারমিন চৌধুরী ও তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইনের পাসপোর্ট ইস্যু কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি। বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ অগাস্ট গণ আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়লে আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরদিনই সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, সংসদ ভেঙে দেওয়া হলেও স্পিকারের পদ তাৎক্ষণিভাবে শূন্য হয় না। পরবর্তী স্পিকারের শপথ পর্যন্ত তিনি দায়িত্বে থেকে যান। তবে সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা না করে পদত্যাগ করেন শিরীন শারমিন।
২০০৯ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য হিসাবে জাতীয় সংসদে আসেন শিরীন। তাকে দেওয়া হয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
নবম সংসদের শেষ দিকে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর সেই জায়গায় আসেন তখনকার স্পিকার আবদুল হামিদ। এরপর ২০১৩ সালে ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম নারী স্পিকার নির্বাচিত হন শিরীন শারমিন। তারপর থেকে তিন মেয়াদে তিনিই টানা স্পিকারের চেয়ারে ছিলেন।