রাত ৯:৪৮, ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:

মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: তুরস্কের রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোই হবে রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রোববার সকালে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা সমস্যায় বাংলাদেশের পাশে থাকারও আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বৈঠকের বিষয়ে পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ‘রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে তুরস্ক সব সময়ই বাংলাদেশের পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে,’ তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের এ বক্তব্য উদ্ধৃত করেন সহকারী প্রেস সচিব।

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার পরপরই তুরস্কের ফার্স্ট লেডির কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলো পরিদর্শন করায় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সফর বিনিময়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বাংলাদেশ-তুরস্ক বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকালে এ সম্পর্ক আগামীতে আরো জোরদার হবে বলেও আশা করেন তিনি।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত সে দেশের ব্যবসায়ীদের আগ্রহের কথা জানালে প্রধানমন্ত্রী তাতেও সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বৈরুতে বোমা বিস্ফোরণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ মেরামতে সহযোগিতার জন্যও তুরস্ক সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূততে সম্ভাব্য সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে তার সুস্বাস্থ্য এবং সাফল্য কামনা করেন। তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্টকেও শুভেচ্ছা জানান।

এই প্রথম রাষ্ট্রদূত হয়ে মুস্তাফা ওসমান তুরান বাংলাদেশে দায়িত্ব পেয়েছেন এবং দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে তার দেশের আকাঙ্ক্ষার কথা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, তুরস্কের বিভিন্ন বাণিজ্য সংস্থা এবং ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে নিজস্ব আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন।

এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান বলেন, তুরস্কের একটি সংস্থা বাংলাদেশের এলপিজি খাতে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুই দেশের প্রতিষ্ঠান বিডা এবং ডেইক এর মধ্যে গত ২১ জানুয়ারি ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি ওয়েবিনার বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তুরস্কের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের নামে রাজধানী ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরণ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত।