সকাল ১১:৩৫, ৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:

পরপর দুই বলে সাজঘরে মাহমুদউল্লাহ-মোসাদ্দেক

সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের দেয়া ১৫৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশ দলের হাল ধরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ আফিফ। এবার পরপর দুই বলে সাজঘরে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ-মোসাদ্দেক। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টাইগারদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১১১ রান।

এখন ২৯ রানে আফিফ হোসেন ও ২ রানে শেখ মেহেদি হাসান অপরাজিত রয়েছেন।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারল না বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ১৩ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। অভিষিক্ত ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ২ রান। আর দ্বিতীয় উইকেটের ব্যাট করতে নামা এনামুল হক বিজয় করেছেন ১৪ রান।

চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশ দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন। পঞ্চম উইকেটে দুজন মিলে গড়েন ৩৯ রানের জুটি। এ সময় জয়ের স্বপ্ন দেখছিলো টাইগাররা। শিবির। কিন্তু ব্রেড ইভান্সের পরপর দুই বলে মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক ফিরলে ফের চাপে পড়ে দল।

ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ এরভিন। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই ছিল স্বাগতিকদের। প্রথম তিন ওভারে বিনা উইকেটে আসে ২৯ রান। চতুর্থ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। বল করতে এসে প্রথম বলেই ওপেনার রেগিস চাকাভাকে ১৭ রানে ফেরান নাসুম আহমেদ।

এরপর পঞ্চম ওভারে জোড়া আঘাত আনেন শেখ মেহেদি হাসান। তার বলে বোল্ড হওয়ার আহে ওয়েসলি ম্যাধভের করেন ৫ রান। পরের বলেই শূন্যরানে আউট হয়েছেন দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার সিকান্দার রাজা। এদিকে শেন উইলিয়ামসকে নিজের প্রথম শিকার বানান বাংলাদেশি অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। উইলিয়াস করেন ২ রান। আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে আউট হওয়ার আগে ওপেনার ক্রেইগ এরভিন করেন ২৭ রান।

১৩ ওভারে মাত্র ৬৭ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারালে মনে হচ্ছিলো একশ রানও করতে পারবেনা জিম্বাবুয়ে। ম্যাচের এমতাবস্থায় হুট করেই জ্বলে উঠেন রায়ার্ন বার্ল। নাসুম আহমেদের এক ওভারেই ৩৪ রান তুলার পর সচল হয় স্বাগতিকদের রানের খাতা। এ সময় লুক জংইউকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র ৩১ বলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। তাতেই লড়াকু সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা।

ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণ করার পর মাত্র ২৮ বলে ৫৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন রায়ার্ন বার্ল। এদিকে তাকে সঙ্গ দেয়া লুক জংইউর ব্যাট থেকে এসেছে ৩৫ রান। আর ৫ রানে ব্রেড ইভান্স ও ১ রানে ভিক্টর নিউচি অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন শেখ মেহেদি হাসান ও হাসান মাহমুদ। এছাড়া একটি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন চারজন বোলার।