রাত ৩:০২, ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বর্ষণে তিস্তা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। হঠাৎ তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের লকিয়ারপাড়া, পাড়া সাদুয়া, মাদারীপাড়া, চর মাদারীপাড়া এলাকার প্রায় আড়াই শতাধিক বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।
এছাড়া ভাঙনের মুখে রয়েছে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কয়েকটি গ্রামসহ শতাধিক আবাদি জমি।
সরেজমিনে, লকিয়ারপাড়া, পাড়া সাদুয়া, মাদারীপাড়া, চর মাদারীপাড়া এলাকায় দেখা যায় তিস্তার তাণ্ডব। লকিয়ারপাড়া গ্রামের ৩০টি বাড়ি, পাড়া সাদুয়া গ্রামের ৫০টি বাড়ি, মাদারীপাড়া গ্রামের ৫০টি বাড়ি, চর মাদারীপাড়া ও কারেনন্ট বাজার এলাকার ১২০টি বাড়িসহ মোট প্রায় ২৫০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
নদী গর্ভে বাড়ি ভিটে হারিয়ে পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। এছাড়া ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন নদী তীরের অনেক মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, গত পাঁচ দিন থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দেয় নদী ভাঙনের তাণ্ডব।
পাড়া সাদুয়া এলাকার ইউপি সদস্য মোস্তফা আলী জানান, ‘গত পাঁচ দিন ধরে চলছে তিস্তা নদীর ভাঙন। এভাবে নদী ভাঙতে থাকলে আমরা কোথায় যাবো।’
গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ‘তিস্তা নদীর ভাঙনে তাদের বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় অন্যের জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে তাদের পরিবার।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বরাদ্দ এলে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করা হবে। তবে কারেন্ট বাজার এলাকায় এক কিলোমিটার ভাঙন রোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বরাদ্দ এসেছে, জিও ব্যাগ গননা শেষে নদীতে ফেলা হবে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ওই এলাকাগুলোর ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গননা শেষে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হবে।’