দুপুর ২:৫৯, ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:

নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে চলছে মাছ ধরার উৎসব

সরকারি নিষেধাজ্ঞায় ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর নদীতে মাছ শিকার শুরু হয়েছে পুরোদমে। দীর্ঘ ৬৫ দিন অলস সময় কাটানোর পর নদীতে মাছ ধরতে নেমেছেন লক্ষাধিক জেলে। মাছ ধরা যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে।

ঘোষণা অনুযায়ী গত ২৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে জেলেদের নদীতে মাছ ধরতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। ইতোমধ্যে তারা জাল ও নৌকা মেরামতের কাজ শেষ করেছে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে জেলে পরিবারগুলোতে। কর্তৃপক্ষের দাবি কর্মসূচি সফল হওয়ায় এবছর ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। এছাড়াও জেলেদের নিরাপত্তা দিতেও প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান। তবে কৌতুহল সৃস্টি হয়েছে এবার ২৪ জুলাই মাছ ধরা শুরু যেখানে সেখানে ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরেছে কিছু জেলেরা। প্রথম চালান হিসেবে বিক্রিও চড়া দামে হচ্ছে।

খবর নিয়ে জানা গেছে, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা উৎসবমুখর পরিবেশে বিনা বাধায় মাছ ধরতে সাগরে নেমেছে। জেলার বিভিন্ন মাছের আড়ৎ গুলোতে ফিরেছে প্রানচাঞ্চল্য। ব্যস্ত হয়ে উঠেছে জেলে ইলিশ ব্যবসায়ীরা।

সুত্রে জানা গেছে, পরিবেশ অনেকটাই অনুকূলে থাকায় শুরুতেই কক্সবাজারের লক্ষাধিক জেলে গভীর সাগরে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বলে জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতি। তবে বরাবরের মতো এবারো জেলেদের উপর ভর করে বসেছে ‘জলদস্যু’ আতঙ্ক।

জেলে ও ট্রলার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টানা ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকার পর আজ থেকে কক্সবাজারে আবারো শুরু হয়েছে মৎস্য আহরণ মৌসুম। এ উপলক্ষে উপকূলীয় জেলেদের মাঝে বেড়েছে কর্ম ব্যস্ততা। ব্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলে পল্লীগুলো।

জেলেদের পদচারণায় মূখরিত হতে শুরু করছে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। দূর-দূরান্ত থেকে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন পাইকার ও আড়তদাররা। ব্যস্ততা বেড়েছে বরফ কলগুলোতেও। জেলে পল্লীগুলোতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির জন্য দম ফেলানোর ফুরসত নেই যেন কারোই।

কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান জানান, জেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছে প্রায় ৪২ হাজার। এছাড়াও নতুন জেলেদের নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক ফিশিং বোটের সংখ্যা প্রায় ৪৭’শ। কক্সবাজার বঙ্গোপসাগর থেকে আহরিত এসব মৎস্য স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে রপ্তানি হচ্ছে দেশবিদেশে।