বিকাল ৫:৫৮, ১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে সমালোচিত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
সোমবার রাতে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই কথা জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে এবং আমি আজ রাত ৮টায় প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে বার্তাটি পৌঁছে দিই।’
এর আগে সোমবার সকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের দেওয়া বক্তব্য তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। এটি দল বা সরকারের নয়। এ ধরনের বক্তব্য তিনি কেন দিলেন, বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’
সম্প্রতি সোস্যাল প্লাটফর্মে এক টকশোতে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের মেয়ে জায়মা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী মুরাদ। তার এই বক্তব্য নানা মহলে সমালোচিত হয়। এর মধ্যেই ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক নায়িকার সঙ্গে অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়ায় সোস্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। সোমবার সকাল থেকে তার পদত্যাগের দাবি জোরালো হয়।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল সমালোচনা হলেও এ ব্যাপারে মুখ খুলেননি ডা. মুরাদ হাসান। সোমবার তিনি মন্ত্রণালয়েও আসেননি। বিকালে সেগুনবাগিচায় শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তার যোগ দেওয়ার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল, সেখানেও যাননি।
মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের মন্ত্রিসভায় তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। এরপর ১৯ মে ২০১৯ তারিখ থেকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এর আজীবন সদস্য।