সকাল ৭:৪৩, ৪ঠা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
ইংল্যান্ডে বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ওয়ানডেতেও একই দশা শ্রীলঙ্কার। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খুইয়েছিল আগেই। হোয়াইটওয়াশ থেকে রক্ষা পেতে তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৬৬ রানেই অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। এরপরও হারেনি সফরকারীরা। বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি ভেস্তে গেলে কপাল জোড়ে হোয়াইটওয়াশ থেকে রক্ষা পেয়েছে কুশল পেরেরা বাহিনী।
প্রথম ইনিংসের পর বৃষ্টির কারণে ভেস্তে গেছে ইংল্যান্ডের ইনিংস। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরও খেলা মাঠে গড়ানোই সম্ভব না হলে ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড ম্যাচটি পুরো বাতিল করে দেন।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথম ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। ফলে টস হেরে ব্যাটিং আসেন লঙ্কনরা। কিন্তু ইংলিশ পেসারদের কাছে বরাবরেই মতোই ব্যর্থ শ্রীলঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপ।
ক্রিস ওকস, ডেভিড উইলি এবং টম কারেনদের বোলিং তোপে ক্ষণে ক্ষণে পড়েছে সফরকারীদের উইকেট। ৭ বলে ৯ রান করে ক্রিস ওকসের বল বোল্ড হন কুশল পেরেরা। এরপর আভিষ্কা ১৪ বলে ১৪ রান করে ডেভিড উইলির এলবিডব্লিউ হন। উইলির দ্বিতীয় শিকার হয়ে পাথুম নিশাঙ্কা ফেরেন ৬ রানেই। ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে শ্রীলঙ্কা।
এরপর ওসাদা ফার্নান্ডো (১৮), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (২০), চামিকা করুনারত্নে (১১), বিনুরা ফার্নান্ডোরা (৭) দাঁড়াতে পারেননি। ৩১ ওভার পার হতেই ১২৪ রানে ৮ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
এদিকে একাই শেষ পর্যন্ত খেলতে থাকেন দাসুন শানাকা। হয়তো দলীয় স্কোরটা আরেকটু বাড়িয়ে নিতেন তিনি। কিন্তু ৪২তম ওভারের প্রথম বলেই শেষ উইকেটে ব্যাট করতে আসা আসিথা ফার্নান্দো রানআউট হলে ১৬৬ রানেই থামে লঙ্কানদের ইনিংস।
৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন শানাকা। আর ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন টম কারেন। এছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন ক্রিস ওকস এবং ডেভিড উইলি।