বিকাল ৩:৫০, ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে আদালতে নেয়া হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে একটি গাড়িতে করে তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে (সিএমএম আদালত) নেয়া হয়। এরপর আদালতের ভেতরে থাকা হাজতখানায় রাখা হয়েছে হেফাজতের এই নেতাকে।
মামুনুল হকের হাজির করাকে কেন্দ্র করে আদালতপাড়ায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পুলিশের কড়া পাহারায় মধ্যে আদালতে হাজির করা হয় তাকে।
এর আগে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ জানান, আদালতে সোর্পদ করার পর পুলিশ তার সাত দিনের রিমান্ড চাইবে আদালতের কাছে।
গতকাল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাকে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে নেয়া হয়।
সেখানে সংবাদ সম্মেলন করেন তেজগাঁও জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে নজরদারিতে রাখার পর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।
হারুন অর রশীদ বলেন, মামুনুলের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা, থানা ও রেজিস্ট্রার অফিসে হামলা, ভাঙচুরসহ অনেকগুলো মামলা রয়েছে। এসব মামলার তদন্ত চলছিল। আমরা দীর্ঘদিন ধরে তাকে নজরদারিতে রেখেছিলাম, পাশাপাশি এসব মামলার তদন্ত করছিলাম। তদন্তে তার সুস্পষ্ট সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সেখান থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে দুপুর ২টার দিকে তেজগাঁও থানায় নেয়া হয়। পরে রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি রাত কাটান।
হারুন বলেন, জিজ্ঞাসবাদে আরও বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে আরও নাশকতাসহ অন্যান্য মামলা রয়েছে। সেগুলোতেও তাকে সোমবার গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে। সোমবার মোহাম্মদপুর থানার নাশকতা ও ভাঙচুর মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
অন্যদিকে মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আলিম বলেন, ২০২০ সালের ৭ মার্চ মোহাম্মদপুর থানায় হওয়া মামলায় মামুনুল হক সাত নম্বর আসামি। স্থানীয় এক নাগরিক তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।