সকাল ১০:৫৪, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ত্রিশালে ব্যবসার জন্য টাকা না দেওয়ায় মা-বাবাকে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে মেঝেতে পুঁতে রেখেছেন ছেলে। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলে মো. রিয়াদ হাসান রাজুকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের বাশকুড়ি কারবালা স্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- ওই এলাকার মোহাম্মদ আলী (৭০) এবং তার স্ত্রী রানোয়ারা বেগম (৬০)। ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গতকাল দিনের বেলায় মা রানোয়ারা বেগমকে গলা টিপে হত্যা করে ঘরে মরদেহ লুকিয়ে রাখেন ছেলে রিয়াদ হাসান রাজু। এরপর সন্ধ্যায় বাবা মোহাম্মদ আলী বাড়ির বাইরে থেকে ঘরে এলে তাকেও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে বাবা-মায়ের মরদেহ পুঁতে রাখেন। একই সঙ্গে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাভিত করতে বোনদের খবর দেন বাবা-মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনার খবরে সকালে বোন জরিনা খাতুন স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি এলে ভাই রাজুর কর্মকাণ্ডে সন্দেহ সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে ঘরের ভেতরের মেঝের মাটি খোঁড়া এবং রক্তের দাগ দেখে বোন জরিনা ঘটনাটি প্রতিবেশীদের জানান। এ সময় বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রতিবেশীরা ছেলে রাজুকে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে এবং ছেলেকে গ্রেপ্তার করে।
ত্রিশাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনসুর আহম্মেদ বলেন, ঘাতক ছেলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন- তার মনে শান্তি নাই। বিগত কয়েক বছর আগে বিয়ে করেছেন, স্ত্রী ছাড়াও তার একটি মেয়ে সন্তান আছে। আগে তিনি একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। কিন্তু বর্তমানে তার কোনো কর্ম নেই। তাই কিছুদিন ধরে তিনি ব্যবসার জন্য বাবা-মায়ের কাছে টাকা চাইছিলেন। কিন্তু বাবা-মা টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি রাগে ক্ষোভে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
এ ঘটনায় নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।