রাত ৩:২৭, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অবৈধ লেভেল ক্রসিং বন্ধ করতে গিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংঘাতে জড়ান স্থানীয়রা। এ সময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ও ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস প্রায় ১৫ মিনিট আটকে রাখে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের দীঘিরজান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ১৫ সেপ্টেম্বর একই স্থানে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান কসবায় বাড়ি হওয়া পপি আক্তার (২৩) ও অটোরিকশা চালক সাদিক মিয়া (৩৭)। বৃষ্টির মধ্যে ট্রেন দেখতে না পেয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি অবৈধ লেভেল ক্রসিং দিয়ে পার হওয়ার সময় বিজয় এক্সপ্রেসে ট্রেনের ধাক্কায় দু’জনের মৃত্যু হয়।
জানা যায়, দুর্ঘটনার পর লেভেল ক্রসিংটি বন্ধে রেলওয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু বুধবার সকালে কর্তৃপক্ষ সেখানে কাজ শুরু করলে স্থানীয়রা প্রতিবাদে নামেন। বেলা পৌনে ১১টার দিকে কয়েকশ মানুষ লাঠিসোঁটা হাতে জড়ো হয়ে অবৈধ পথটি বন্ধে বাধা দেয়। একপর্যায়ে তারা মহানগর প্রভাতী ও চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনকে আটকে রাখেন।
চট্টলা এক্সপ্রেসের যাত্রী গাজীপুরের সুরাইয়া বেগম (৪৫) বলেন, হঠাৎ ট্রেন থেমে যায়। বাইরে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। আমরা ভয়ে আক্রমণের আশঙ্কা করেছিলাম।
নরসিংদীর আরেক যাত্রী শফিউল আলম (২২) বলেন, আমরা পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করছিলাম। হঠাৎ এমন পরিস্থিতি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।
তবে প্রায় ১৫ মিনিট পর পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং আটকে থাকা দুটি ট্রেন ছেড়ে দেওয়া হয়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, দীঘিরজানের লেভেল ক্রসিংটি অবৈধ। এ কারণে তা বন্ধ করতে রেলওয়ে কর্মীরা সেখানে যান। স্থানীয়রা আপত্তি জানালে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। এসময় দুটি ট্রেন কিছুক্ষণ আটকে ছিল। বিষয়টি সমাধানে আলোচনা চলছে।
স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত এই লেভেল ক্রসিং হঠাৎ বন্ধ করে দিলে তাদের চলাচলে দুর্ভোগ তৈরি হবে। তাই বিকল্প ব্যবস্থা না করে লেভেল ক্রসিং বন্ধ করলে তারা তা মেনে নেবে না।