সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন নিমাইকাশারী এলাকায় বিরোধপূর্ণ একটি জমির ছবি তোলায় রসূলবাগ এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে মুসা সুমন (৪০) সহ অজ্ঞাত আরো ৩জন মুক্তিনগর এলাকার মৃত কুতুব উদ্দিন ইসলামের ছেলে তারকের উপর হামলা চালিয়েছে। ভুক্তভোগী তারেক পেশায় একজন গণমাধ্যম কর্মী। গত ২৪ এপ্রিল রাতে ডেমরা থানাধীন বক্সনগর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী ডেমরা থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানাযায়, উক্ত বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে আদালতে দেওয়ানি মামলা চলমান যাহার নং-৬৮/২৩।
উক্ত অভিযোগ তুলে নিতে ৩০এপ্রিল সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর এলাকায় দ্বিতীয় দফায় ভুক্তভোগীর উপর হামলা চালায় অভিযুক্ত মুসা সুমন। এ ঘটনায় পূণরায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী মো.তারেক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল বিরোধপূর্ণ জমির ছবি তোলায় অভিযুক্তরা তারেকের উপর প্রথম দফায় হামলা চালিয়ে মারধর করে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে দ্বিতীয় দফায় আবারো হামলার শিকার হন তারেক। অভিযোগ তুলে না নিলে বাদি ও বাদির পরিবারের ক্ষতি সাধন সহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী তারেক।
সাংবাদিক তারেক বলেন, জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলে, উক্ত জমির বিষয়ে গত ২৪ এপ্রিল তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তারা বাধা প্রদান করে। পরে রাতে আমি ডেমরা থানাধীন বক্সনগর এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানের সামনে মটরসাইকেলের উপরে বসে ছিলাম। কোনকিছু বুজে উঠার আগে মুসা সুমন আমার উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় লীলা ফুলাসহ মারাত্নক যখম হয়। পরে আমি সুস্থ্য হওয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথমিক চিকিৎসা নেই। চিসিৎসক আমাকে ৭ দিন বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন। আমি ও আমার পরিবার এখন আতঙ্ক আছি, যে কোন সময় সুসা সুমন বাহিনী হামলা করেতে পারে।
এ বিষয়ে মুসা সুমন বলেন,আমার সাথে সাংবাদিক তারেকের পূর্বের কোন শত্রুতা নেই। আমি স্বীকার করলাম তার গায়ে তিন চারটা চড় থাপ্পড় মারি। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর মো. হাবিবুর রহমান বলেন, উক্ত বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।