গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে নতুন চমক কিরণ নাকি রাসেল সরকার

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে নতুন চমক কিরণ নাকি রাসেল সরকার
কাজী মোঃ আব্দুল মান্নান : নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। ২৭ এপ্রিল মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন। আর বাছাই ৩০ এপ্রিল এবং প্রতীক বা মার্কা বরাদ্দ হবে ৯ মে। ফলে এ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটার এবং প্রার্থীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে চরম উত্তেজনা। বিশেষ করে মেয়র পদে কে পাবেন সরকার তথা আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন। শোনা যাচ্ছে- দলের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নতুন চমক দেবেন। সেই লক্ষে, দেশের সর্ব বৃহৎ এই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে কে পাবেন দলের টিকিট, এ নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চলছে ব্যপক জল্পনা-কল্পনা। এই মুহুর্তে গাজীপুর সিটি বাসী মেয়র পদ প্রার্থীদের নিয়ে চরম উৎকন্ঠায় রয়েছেন।
গাজীপুরে যারা যারা মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণায় নির্বাচনী মাঠ কাপাচ্ছেন, তাদের মধ্যে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের রয়েছেন দুজন। একজন যুবলীগের গাজীপুর মহানগর আহবায়ক মোঃ কামরুল আহসান সরকার রাসেল এবং অপরজন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পর পর দু’বার মনোনীত ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ। কাজেই প্রার্থী নিয়ে ধ্রুবজাল রয়েছেন নগরবাসী। কেননা- কোন ভাবেই কেউ হিসেব মেলাতে পারছেন না উৎসুক ভোটার ও প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেশ ক’জন প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে শেষ মুহূর্তের তোড়জোড় শুরু করেছেন। কাজেই মেয়র প্রার্থী নিয়ে খোদ আওয়ামীলীগেই চলছে নানা হিসাব-নিকাশ।
আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে যারা প্রচার-প্রচারণায় শীর্ষে রয়েছেন তারা হলেন- গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর সিটির ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল এবং যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম।
এছাড়াও আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বেশ কিছু নতুন মুখের পোস্টার নগরজুড়ে শোভা পাচ্ছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নতুন মুখ আসবে, ‘বিতর্কিত এবং  পুরনো কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে না’ গণমাধ্যমে দেয়া কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দেয়া এমন বক্তব্যে নগরবাসীসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা রয়েছেন ধোঁয়াশায়।
এতো সব হিসাব নিকাশের বাইরেও আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে বর্তমান মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুর রহমান কিরণের নাম। দুই মেয়াদে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে মেয়রের দায়িত্ব পালন করে সিটি কর্পোরেশন পরিচালনায় তিনি  যে অভিজ্ঞতা ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তা আওয়ামীলীগ কাজে লাগাতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল মত পোষণ করছেন। জেলার শীর্ষ নেতারাও কিরণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে হাইকমান্ডের কাছে সুপারিশ করেছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া গাজীপুর-২ আসনের সাংসদ সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর আস্থাভাজন হিসেবেও কিরণ পরিচিত।
আসাদুর রহমান কিরণ বলেন, ‘দীর্ঘ দিন গাজীপুযর সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা করার মাধ্যমে আমি জনগণের চাহিদা অনুধাবন করতে পারছি। জনগণও আমাকে  মেয়র হিসেবে দেখতে চায়। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে আরো বলেন- আমি শূন্য হাতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব নিয়েছি। গত প্রায় এক বছরে সিটি কর্পোরেশনের সকল ব্যয় নির্বাহের পরেও বর্তমানে প্রায় দেড়শো কোটি টাকা রাজস্ব আয় জমা রয়েছে। সিটি কর্পোরেশন এখন স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে সকল কাউন্সিলর ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্বয় করে উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছে। নির্বাচনে আমিও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই নগরীর মানুষের সেবার জন্য মনোনয়ন চাইবো।’
এদিকে সাধারণ ভোটারদের চোখ কিন্তু রাসেল সরকারকেও মেয়র পদে দেখতে চায়। ইতিমধ্যে তিনি গাজীপুর মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গড়ে তুলেছেন তার একটি পরিচিতি। সেবা ও ভালবাসা দিয়ে সর্বস্তরের মানুষের পাশে দাড়িয়ে তৈরী করেছেন মজবুত ভিত্তি। যে কারণে সাধারণ মানুষ তার আচার-ব্যবহার ও সেবা মূলক কর্মকান্ডে অনেকটাই সন্তুষ্ট। তারা মনে করেন- রাসেল সরকার আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাবেন এবং জননেত্রী দেশ রতœ শেখ হাসিনা তাকে নতুন মুখ হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করে চমত দেবেন গাজীপুর সিটিবাসীকে। কেননা- রাসেল সরকারের মধ্যে রয়েছে, সততা নিষ্ঠা আদর্শ ও সচ্ছতার ছবি। রাসেল সরকার ইতোমধ্যে নিজ অর্থে বহু গরীব অসহায় ও দুস্থ্যদেরকে তৈরী করে দিয়েছেন বাড়ি ও ঘর। অনেককেই করে দিয়েছেন কর্মসংস্থাানের ব্যবস্থা। একজন দানবীর হিসেবেও তার সুনাম ও পরিচিতি সর্ব মহলে।

More News...

বিড়ি শিল্পের শুল্ক প্রত্যাহারসহ পাঁচ দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন

কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ