যশোরে ইরি-বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত চাষিরা

যশোরে ইরি-বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত চাষিরা

হাফিজুর শেখ, যশোর : যশোরে ইরি-বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। আমন ধান ঘরে উঠতে না উঠতেই তারা ইরি-বোরোর বীজ বপনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বৃষ্টি না হওয়ায় কেউ সেচের পানি ব্যবহার করছেন আবার কেউ নিচু ডোবা থেকে পানি উঠিয়ে বীজতলা পরিচর্যা করছেন। শীতের তেমন দাপট না থাকায় অধিকাংশ বীজতলার চারা সবল হয়ে উঠেছে।

এবার চাষিদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে বাঁশমতি ও মিনিকেট ধানের চারা।জানা গেছে, বর্তমান আবহাওয়া ইরি-বোরো বীজতলার উপযোগী সময়। ফলে বীজতলা তৈরিতে চাষিদের অনেক ব্যস্ততা বেড়েছে। তবে দাম সামান্য বেশি হলেও চাষিরা ভালো মানের বীজ বপন করেছেন।

যেসব চাষি এখনো বীজ কেনেননি তারা বীজের দোকান গুলোতে ভিড় করছেন।সদর উপজেলার চান্দুটিয়া গ্রামের চাষি শফিয়ার রহমান ওরফে শফি জানান, ইরি বোরো বীজ বপনের সময় আরও কিছু দিন হাতে থাকলেও ধান বীজতলা তৈরির কাজটা তিনি আগেভাগেই শুরু করেছেন। ফলে বৈশাখের দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকে ঘরে ধান তোলা সম্ভব হবে। এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করবেন।

শফি আরও জানান, এবার তিনি ২ শতক জমিতে বাঁশমতি ও ২ শতক জমিতে মিনিকেট ধানের বীজ বপন করেছেন। একই কথা জানান, ওই গ্রামের চাষি শামসুর রহমান, মহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন। তারা জানান, এবার তাদের মতো অধিকাংশ চাষি বাঁশমতি ও দুই রকমের মিনিকেট ধানের বীজ বপন করেছেন। চৌগাছা উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের আব্দুল আলিম জানান, রোপা আমন ধান কাটার কিছু দিন পরই তিনি ইরি-বোরো ধানের বীজ বপন করেছেন।বাঘারপাড়া উপজেলার দরাজহাট গ্রামের মতিয়ার রহমান জানান, বৃষ্টির পানি না থাকায় তিনি সেচের পানি ব্যবহার করে বীজতলা তৈরি করেছেন।বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, আবাদি জমিতে ইরি-বোরো বীজতলায় বীজ ছিটানো হয়েছে। বীজ থেকে ছোট ছোট গাছ বের হয়েছে। আগামী ২৫/৩০ দিনের মধ্যে বীজতলা থেকে বীজ তুলে জমিতে লাগানো সম্ভব হবে। কয়েকজন চাষি জানান, এবার বীজের দাম কিছুটা বেশি হলেও তারা ভালো মানের বীজ বপন করেছেন।

কেননা বীজ সবল হলে ধানও ভালো হবে।স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা জানান, চাষিদের উন্নত জাতের ইরি-বোরো ধানের বীজতলা তৈরির জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এতে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকে। নরমাল বীজ লাগালে ধানের চারা অসুস্থ হয়ে যায়।যশোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক মঞ্জুরুল হক জানান, যশোর জেলায় এবার ইরি-বোরোর বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৮ হাজার ২শ’হেক্টর জমিতে। তবে বীজতলা তৈরিতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

More News...

বিড়ি শিল্পের শুল্ক প্রত্যাহারসহ পাঁচ দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন

কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ