বাজার মূলধন বাড়লো ৫ হাজার কোটি টাকা

বাজার মূলধন বাড়লো ৫ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া শেষ তিন কার্যদিবসেই দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। এতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে একশোর বেশি প্রতিষ্ঠান। ফলে এক সপ্তাহেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা বেড়ে গেছে।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা।
বাজার মূলধন বাড়ার পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে কম। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ১২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৬টির। আর ২২২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩২ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৫১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৪ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা দশমিক ২২ শতাংশ। তবে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ১২ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১১ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৫২ শতাংশ।
এসই-৩০ মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গত সপ্তাহে এই সূচকটি কমেছে ১ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৩২ শতাংশ।
সূচকে মিশ্র প্রবণতা থাকলেও ডিএসইতে বেড়েছে গড় লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৭১৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অর্থাৎ, প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৭৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বা ৫২ দশমিক ৭২ শতাংশ। আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৩ হাজার ৫৮৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৮৮৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা বা ৫২ দশমিক ৭২ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০৪ কোটি ৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫৮ কোটি ৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। ২১২ কোটি ১৪ লাখ ২ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইস্টার্ন হাউজিং, জেনেক্স ইনফোসিস, বসুন্ধরা পেপার, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট এবং আনোয়ার গ্যালভানাইজিং।

More News...

বিড়ি শিল্পের শুল্ক প্রত্যাহারসহ পাঁচ দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন

কুষ্টিয়ায় নকল আকিজ বিড়িসহ বিড়ি তৈরির উপকরণ জব্দ