মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একইদিনে উপজেলার ৯টি বিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৪২ শিক্ষার্থীকে করোনা টিকা প্রয়োগের দিন নির্ধারিত ছিল। ফলে টিকাদান শুরুর আগ থেকেই সেখানে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা।
কিন্তু একই সময়ে বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী জড়ো হওয়ায় বড় ধরনের জটলার সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকরা আসায় এই জটলা আরও বাড়ে। অনেকটা গাদাগাদি করেই টিকার জন্য অপেক্ষা করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো সুযোগই দেখা যায়নি ছিল না। এছাড়া অধিকাংশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মুখে ছিল না মাস্কও।
তিনি আরও বলেন, যদি স্কুলে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকাদানের ব্যবস্থা করতো সবচেয়ে ভালো হতো। অভিভাবকদের দুর্ভোগে পড়তে হতো না, আর শিক্ষার্থীদেরও ঝুঁকিতে পড়তে হতো না।
অভিভাবকদের অভিযোগ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কক্ষ ও জেনারেটর সুবিধা ছাড়া এ টিকা প্রয়োগ করা যায় না। কিন্তু কোনো নিয়মনীতি মানছে না কর্তৃপক্ষ।
টিকা প্রয়োগে নিয়মনীতি আছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি অফিসে গিয়ে সামনা সামনি বসে কথা বলবো।’
তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফকির জাকির হোসেন বলেন, ‘গাদাগাদি হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু এর দায়ভার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের, আমার নয়। এছাড়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কক্ষ ও জেনারেটর সুবিধা ছাড়া এ টিকা প্রয়োগ করা যায় না। তারা যেভাবে দিচ্ছেন এ দায়ভার তাদের।