অর্থ সংকটে মডেল মসজিদ নির্মাণকাজে ধীরগতি

অর্থ সংকটে মডেল মসজিদ নির্মাণকাজে ধীরগতি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি : অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ধীরগতিতে চলছে পটুয়াখালীতে মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প। এরমধ্যে কয়েকটি মসজিদের নির্মাণকাজ থেমে গেছে। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলা সদরসহ প্রতি উপজেলায় একটি করে মোট নয়টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করার লক্ষ্যে এ প্রকল্প শুরু করে সরকার। পটুয়াখালী জেলায় এ বাবদ ১২১ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করলেও এ পর্যন্ত প্রকল্প বাবদ ছয় কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। ফলে প্রকল্পের ঠিকাদাররাও এই কাজে এখন আর খুব বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছেন না।

পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের তথ্যমতে, জেলা সদরের মডেল মসজিদ নির্মাণ বাবদ প্রকল্পমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর মধ্যে রাঙ্গাবালী, গলাচিপা এবং কলাপাড়া উপজেলার মডেল মসজিদ নির্মাণ বাবদ ব্যয় ধরা হয় ১৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং বাউফল, মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালী সদর, দুমকি এবং দশমিনা উপজেলার মডেল মসজিদ নির্মান বাবদ ব্যয় ধরা হয় ১৩ কোটি ৪১ লাখ আশি হাজার টাকা। তবে সে অনুপাতে মোট প্রকল্পে বরাদ্দ পাওয়া গেছে মাত্র ছয় কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এ কারণে অনেক উপজেলায় নির্মাণকাজ চলছে ঢিমেতালে। পাশাপাশি অর্থ বরাদ্দ না থাকায় নির্মাণকাজে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ঠিকাদাররা। এ কারণে জেলা সদরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে নির্মিত (আগের ডিসি কোর্ট মসজিদ) মডেল মসজিদ ছাড়া বাকি মসজিদ নির্মাণকাজে তেমন কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

গণপূর্ত বিভাগের সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদনের (২০২১ সালের নভেম্বর) তথ্য অনুযায়ী, রাঙ্গাবালী উপজেলা মডেল মসজিদের প্রথম তলার কলামের কাজ চলমান রয়েছে, প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৩৬%। গলাচিপা উপজেলার মডেল মসজিদের পাইল ড্রাইভের কাজ চলছে, প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ২২%। বাউফল উপজেলা প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ১%, এরমধ্যে বালু ভরাটের কাজ চলমান রয়েছে এবং ৮০ শতাংশ জায়গায় বালু ভরাট কাজ শেষ হয়েছে।

সদর উপজেলায় ৯৪টি সার্ভিস পাইল প্রস্তুত করা হয়েছে এবং ভৌত অগ্রগতি ১৫%। মির্জাগঞ্জ উপজেলার মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের এখনও জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়নি।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, সারাদেশের প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। এরপরও আমরা কাজ চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত হলে খুব শিগগিরই নির্মাণকাজ শেষ হবে।

More News...

১৭৩ জন বাংলাদেশী মিয়ানমার কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন

বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে পাবনায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান