পলাতক বোমা মিজানের ফাঁসি ও জাবেদের যাবজ্জীবন

পলাতক বোমা মিজানের ফাঁসি ও জাবেদের যাবজ্জীবন

আদালত প্রতিবেক : চট্টগ্রাম আদালত ভবনে পুলিশের তল্লাসি চৌকিতে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) এক জঙ্গির ফাঁসি ও আরেক জঙ্গির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবদুল হালিম এ রায় দেন।

জেএমবির বোমা কারিগর মিজানুর রহমান ওরফে বোমা মিজানকে মৃত্যুদণ্ড ও জেএমবির কথিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় সামরিক কমান্ডার জাবেদ ইকবাল ওরফে মোহাম্মদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মিজান ভারতে আটক আছেন। জাবেদ ইকবালের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করা হয়।

ট্রাইবুনালের পিপি মনোরঞ্জন দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারায় আদালত এ রায় দিয়েছেন।

এদিকে রায়কে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আজ সকালে জাবেদ ইকবালকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।

আদালত সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের মূল ফটকে পুলিশের তল্লাশি চৌকির সামনে বোমা হামলা চালান জেএমবির সদস্যরা। ঘটনাস্থলে মারা যান পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া ও বিচারপ্রার্থী শাহাবুদ্দীন। আহত হন পুলিশ কনস্টেবল আবু রায়হান, সামসুল কবির, রফিকুল ইসলাম, আবদুল মজিদসহ ১০ জন। তিন দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান আত্মঘাতি হামলাকারী মোহাম্মদ হোসেন।

আসামিদের মধ্যে ঢাকার কাফরুলের তালতলা থেকে বোমা মিজানকে ২০০৯ সালের ১৫ মে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে তাঁর মিরপুরের বাসা থেকে বোমা, বিস্ফোরকসহ স্ত্রী হালিমাকেও র‍্যাব গ্রেপ্তার করে। ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যান থেকে মিজানসহ তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। পরে ভারতে পালিয়ে যান মিজান। ২০১৮ সালের ৭ আগস্ট মিজান কলকাতায় গ্রেপ্তার হন।

More News...

১৭৩ জন বাংলাদেশী মিয়ানমার কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন

কোন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল?