মুহিবুল্লাহ হত্যাকারীদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মুহিবুল্লাহ হত্যাকারীদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহের হত্যাকারীদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। কোনো বিদেশি সংস্থা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিরতা সৃষ্টির প্রয়াস চালাচ্ছে কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

দুর্গাপূজা উদ্‌যাপন নিয়ে রোববার সচিবালয়ে এক সভার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা তাঁকে হত্যা করেছে বলে আমরা মনে করছি, আমরা মনে করছি খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারব। তদন্ত চলছে, আমরা খুব শিগগিরই এর ব্যবস্থা করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।’

রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপরও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো রয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কোনো বিদেশি সংস্থা ক্যাম্পে অস্থিরতা সৃষ্টির প্রয়াস চালাচ্ছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই ধরনের মারামারি আপনারা আগেও দেখেছেন। মিয়ানমার থেকে বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিবেশ অস্থির করার জন্য এখানে অস্ত্র আসছে। অস্ত্র নিয়ে তাদের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য বিভিন্ন গ্রুপে মারামারি দেখেছেন। সে (মুহিবুল্লাহ) রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সব সময় সোচ্চার ছিল। আমরা মনে করি এই ঘটনা তদন্ত করে এর মূল কারণটা বের করতে হবে। সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।’

মুহিবুল্লাহকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিছুই বলতে পারছি না। আমরা অনেক কিছুই সন্দেহ করছি, তদন্তের পর জানাব।’

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শিথিল হয়নি জানিয়ে কামাল বলেন, আমরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছি, ওয়াচ টাওয়ার করছি। এগুলো কিছুদিনের মধ্যে শেষ হবে। মনে রাখাতে হবে ১১ লাখ লোক দুটি থানার কিছু অংশে বাস করে। এত বিশাল জনগোষ্ঠীর সবকিছু মেনটেইন করা খুব সহজ কাজ নয়। তারপরও আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনী সমন্বিতভাবে ভালো কাজ করছে বলেই আইনশৃঙ্খলা এখনো ঠিক রয়েছে। কক্সবাজার একটা পর্যটন এলাকা। সেখানে লাখ লাখ পর্যটক যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে বলেই সবকিছু ভালো অবস্থানে আছে।

তাপমাত্রা বেশি হলে পূজা মণ্ডপে ঢোকা যাবে না
এবার দেশের ৩১ হাজার ১৩৭টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মন্দিরে প্রবেশের সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মন্দিরে প্রবেশের সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ক্ষেত্রবিশেষে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকবে। থার্মাল স্ক্যানার থাকবে, কারও শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে পূজা মণ্ডপে ঢুকতে দেওয়া হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা মণ্ডপে আরাধনা করতে হবে।

মন্ত্রী জানান, পূজার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন থাকবে। বড় বড় পূজা মণ্ডপে র‍্যাব, পুলিশের বিশেষ টহলের সঙ্গে সিসি ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি করা হবে। তিনি বলেন, ‘কোনো দুষ্কৃতকারী পূজা মণ্ডপ এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে অথবা ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালালে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজান ও নামাজের সময় মসজিদের নিকটস্থ পূজা মণ্ডপগুলো যাতে সংযতভাবে পূজা অর্চনা করা হয় এবং আজান ও নামাজের সময় তারা যেন বিরতি দেন, সে বিষয়ে বলা হয়েছে। কারণ, অনেক জায়গায় মসজিদ ও মন্দির পাশাপাশি।’

মন্ত্রী বলেন, এবার পূজা মণ্ডপের আশপাশে কোনো দোকানপাট ও মেলা বসতে দেওয়া হবে না। হাউজি ও জুয়া খেলা পূজা মণ্ডপে করতে দেওয়া হবে না। বাজি, পটকা ফোটানো যাবে না, মাদক গ্রহণ করা যাবে না। অস্থায়ী পূজা মণ্ডপগুলোকে নির্দিষ্ট দিনেই প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে।

More News...

সল্টের ‘কালবৈশাখী ঝড়ে’ নববর্ষ বরণ কলকাতার

রোববার থেকে চালের বস্তায় তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক