টিম হোটেলে থাকবেন শুধু দুই দলের সদস্য ও ম্যাচ অফিসিয়ালরা

টিম হোটেলে থাকবেন শুধু দুই দলের সদস্য ও ম্যাচ অফিসিয়ালরা
স্পোর্টস ডেস্ক : একসময় এটাই ছিল দেশের একমাত্র পাঁচ তারকা হোটেল। রাষ্ট্রীয় অতিথি, বিদেশি কূটনীতিবিদ, বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি ক্রিকেটের কোন টেস্ট খেলুড়ে দলও এসে থাকত ঢাকা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে।

তারপর হোটেল সোনারগাঁ, প্যান প্যাসিফিক, রেডিসন, ওয়েস্টিন আর লা মেরিডিয়ান হওয়ায় সেভাবে আর ভিনদেশি ক্রিকেট দল এসে থাকেনি ইন্টারকন্টিনেন্টালে।

দুই দলের আবাসন ও আনুসাঙ্গিক সুযোগ সুবিধা দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানিয়েছে, কঠিন জৈব সুরক্ষা বলয় মেনে ইন্টারকন্টিনেন্টালে থাকবে বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল।

সূত্রের দেয়া তথ্য মোতাবেক, স্বাগতিক বাংলাদেশ আর টিম অস্ট্রেলিয়া আগামী ২৯ জুলাই হোটেলে চেক-ইন করার পর যতদিন সিরিজ চলবে, ততদিন আর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে নতুন করে কোন বোর্ডার উঠতে পারবে না। পুরো হোটেলে শুধু বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার, কোচিং-সাপোর্টিং স্টাফ ও ম্যাচ অফিসিয়ালরাই থাকবেন।

এটা মূলত ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ারই চাওয়া। তারা বিসিবির কাছে করোনা প্রটোকলের কড়াকড়ি প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে আগেই। তার প্রথম ও প্রধান প্রস্তাব হলো এমন এক হোটেলে দুই দল, কোচিং-সাপোর্টিং স্টাফ আর ম্যাচ অফিসিয়ালদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে, যে হোটেলে ঐ কয়দিন আর কেউ অবস্থান করতে পারবে না। তাই বিসিবির পক্ষ থেকে এই হোটেলই বেছে নেয়া হয়েছে।

একইভাবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলও সোজা বিমানবন্দর থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয়ে ঢুকবে। তারাও প্র্যাকটিস আর ম্যাচ ডে’তে শুধু শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে যাবে। বাকি সময় হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকবে।

তবে যেহেতু টিম হোটেলে বাইরের কেউ থাকবে না, সেক্ষেত্রে হয়তো জিম, সুইমিংপুল, লবি আর রেস্টুরেন্টে যাওয়ার অনুমতি থাকবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুল, আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল, শরফুদৌল্লা ইবনে শহীদ সৈকতসহ সিরিজ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা গত ২০ জুলাই থেকে জৈব সুরক্ষা বলয়ে অবস্থান করছেন। তারা ঈদও করেছেন ঐ হোটেলে।

More News...

সল্টের ‘কালবৈশাখী ঝড়ে’ নববর্ষ বরণ কলকাতার

নেইমার পেলেন বড় সুখবর