রাত ৯:০৬, ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চালকের ঘুমে প্রাইভেট কার খালে পড়ে ৮ জনের মৃত্যু

পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুর সদরের কদমতলা এলাকায় প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে ৮ জন নিহত হয়েছেন। চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেট কারটি খালে পড়ে বলে ধারণা করছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

বুধবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে সদর উপজেলার নাজিরপুর সড়কের নূরানী গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুই পরিবারের লোকজন মিলে কুয়াকাটায় ঘুরতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

নিহতরা হলেন- নাজিরপুরের হোগলাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. শাওন (৩২), তার স্ত্রী আমেনা বেগম (২৫), শাওনের দুই ছেলে শাহাদাত (১০) ও আব্দুল্লাহ (৩)। শাওন দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটির চালক ছিলেন। এছাড়া আরেক পরিবারের নিহতরা হলেন- মোতালেব (৪৫), তার স্ত্রী সাবিনা (৩৬), তাদের মেয়ে মুক্তা (১০) ও ছেলে শোয়াইব (২)। তাদের বাড়ি শেরপুরের সদর উপজেলার ভীমগঞ্জ গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শী নাজমা বেগম বলেন, আমার বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাত ২টার দিকে হঠাৎ চিৎকার ও খালে কিছু পড়ার শব্দ শুনে আমি আর আমার ছেলে বাইরে বের হয়ে দেখি খালে একটি প্রাইভেট কার পড়ে আছে। গ্রাম পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে কল দিলে তারা এসে ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। মনে হচ্ছে চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণে গাড়ি খালে পড়ে গেছে।

পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ সেলিম মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে প্রাইভেট কারটির চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া গাড়িটিতে সকলেই ঘুমিয়ে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেহেতু গভীর রাত তাই অতিরিক্ত গতিতে এ দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কম।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. মুকিত হাসান খাঁন বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে বিস্তারিত জানানো যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চালকের অসতর্কতা কিংবা ঘুমিয়ে পড়ার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার নাজিরপুর সড়কের নূরানী গেট এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায় প্রাইভেট কারটি। রাত সোয়া ২টায় খালে গাড়ি পড়ে যাওয়ার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর পিরোজপুর ফায়ার স্টেশনের একটি ইউনিট রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে আরও একটি ইউনিট সেখানে গিয়ে যুক্ত হয়। একে একে গাড়িতে থাকা মোট ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।