সকাল ১১:১৮, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
খুলনায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালসহ জেলার ১৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এ মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন।
এর আগে শুক্রবার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খালিদ উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
ওসি হাসান আল মামুন বলেন, মামলায় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৩০০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সোহেল রানা (২০), গাজী সালাউদ্দীন (৪২), আতাউর রহমান (৪৮), সেকেন্দার শেখ (৬০), শাইখুল মোল্যা (৩৪), ওয়াহিদ শেখ (৩২), রাসেল (২৪), রাব্বি চৌধুরী (২৯), মাহবুব গাজী (২৬), মনিরুজ্জামান মামুন (৪২), রাজু শেখ (৪১), আলিফ মিলন (৩১) ও রাসেল (২৭)।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, সমাবেশে আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। বক্তব্য দিতে দেয়নি। উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। হামলা-মামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, গতকাল (শুক্রবার) বিকালে সরকারের পদত্যাগ, মামলা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে বিএনপি। বিকালে প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হন। আগে থেকেই সেখানে বিপুল পুলিশ মোতায়েন ছিল। সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রাইভেটকারে করে ক্লাবের সামনে আসেন। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। অপরদিকে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।