বিকাল ৩:১৩, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৫-১ গোলের বড় জয় পেল ব্রাজিল

মাঝে মাঝে ঝলক দেখালেও ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ঠিক সুবিধে করে উঠতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া। ম্যাচ জুড়ে আক্রমণে একচেটিয়া আধিপত্যিই প্রদর্শন করল তিতের দল। দাপুটে পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্বে ৫-১ গোলের বড় জয় পেল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

সিউলের বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে হওয়া আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটি ৫-১ গোলে জিতেছে ব্রাজিল।

৫ গোলের মধ্যে একাই জোড়া গোল করেন ব্রাজিলের পোস্টার বয় নেইমার। বাকি তিনটি গোল দক্ষিণ কোরিয়ার জালে ভেদ করান রিশার্লিসন, ফিলিপে কৌতিনিয়ো ও গাব্রিয়েল জেসুস। তবে গোল সংখ্যা আরো বেশি হতেও পারতো। বেশ কয়েকটি শট গোল পোস্ট আর ক্রসবারে লেগে ব্যর্থ হয়ে যায় ব্রাজিলের।

শেষ চার ম্যাচে ১৭ গোল করার বিপরীতে মাত্র এক গোল হজম করেছে সেলেসাওরা। আগের তিন ম্যাচের প্রতিটিতেই তারা পেয়েছে ৪-০ গোলের জয়।

দ্বিতীয় মিনিটেই আলেক্স সান্দ্রোর ফ্রি-কিক থেকে হেডে দক্ষিণ কোরিয়ার জালে বল পাঠান চিয়াগো সিলভা। তবে অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি।

বেশিক্ষণ অবশ্য অপেক্ষায় থাকতে হয়নি ব্রাজিলকে। সপ্তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে সান্দ্রোর দারুণ পাসে ফ্রেদের জোরাল শট রিশার্লিসনের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।

পরের মিনিটেই আবার ব্যবধান বাড়ান রাফিনিয়া। ডান দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে নেইমারের কাট ব্যাকে বল উড়িয়ে মারেন তিনি।

টানা দশমবারের মতো বিশ্বকাপে ওঠা দক্ষিণ কোরিয়া দ্বাদশ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ পায়। তারকা ফরোয়ার্ড সন হিউং-মিনের প্রচেষ্টা চিয়াগো সিলভা ঠেকানোর পর বক্সের বাইরে থেকে হোয়াং ইন-বিওমের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ওয়েভেরতন।

তবে ৩১তম মিনিটে দারুণ গোলে সমতা টানেন ২৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড হোয়াং উই-হো। ৩৮ তমক মিনিটে পেনাল্টির আবেদন করে ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা। রেফারি তাতে তাৎক্ষাণক সাড়া না দিলেও পরে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান তিনি। সুযোগ পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় দলকে আবার এগিয়ে নেন নেইমার।

৫৩তম মিনিটে সান্দ্রো বক্সের ভেতর ফাউলের শিকার হলে আবারও ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টিতে নিজের ‘ট্রেডমার্ক’ কিকে ফের গোল করেন নেইমার। ম্যঅচের পর জাতীয় দলের হয়ে নেইমারের মোট গোল সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৩।

কিংবদন্তি পেলের সর্বোচ্চ ৭৭ গোলের রেকর্ড ছোঁয়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন এই পিএসজি তারকা।

৭৮তম মিনিটে নেইমারের বদলি নামার খানিক পরই জালের দেখা পান কৌতিনিয়ো। ভিনিসিউসের হেড ক্লিয়ার করতে পারেনি স্বাগতিকরা। প্রথম স্পর্শে বল জালে পাঠান কৌতিনিয়ো।

অতিরিক্ত সময়ে ব্রাজিলের পাঁচ নম্বর গোলটি করেন কৌতিনিয়োর সঙ্গেই বদলি নামা ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড জেসুস।

পুরো ম্যাচে ৫৯ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের জন্য মোট ২৫টি শট নেয় তারা ব্রাজিল। পুরো খেলায় লক্ষ্যে ব্রাজিলের শট ছিল ৯টি আর দক্ষিণ কোরিয়ার সাত শটের মধ্যে ৬টি। আগামী সোমবার পরের প্রীতি ম্যাচে জাপানের মাঠে খেলবে ব্রাজিল।