রাত ১১:২৫, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৬০০০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি (নভেম্বর) মাসের ২২ দিনে দেশে এসেছে ২ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারের প্রবাসী আয়। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা প্রায় ৪২ কোটি ডলার বেশি। রেমিট্যান্সের এ ধারা মাসজুড়ে বজায় থাকলে নভেম্বরে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন ডলার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে গত বছর শুধু রমজানের ঈদ কেন্দ্র করেই একবার ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে টাকায় পাঠানোয় বিভিন্ন প্রণোদনা, বৈধপথে টাকা পাঠানোর ওপর উৎসাহ বাড়ানো এবং এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর সক্রিয় ভূমিকা উল্লেখ করা হচ্ছে।

চলতি (নভেম্বর) মাসের প্রথম ২২ দিনে প্রবাসীরা দেশে ২১৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২৬ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, প্রতিদিন গড়ে দেশে আসছে ৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার বা ১১৮৪ কোটি টাকা। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪২ কোটি ডলার বেশি। ২০২৪ সালের নভেম্বরের প্রথম ২২ দিনে ১৭১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরের শুরু থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ২২৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-২২ নভেম্বর ২০২৪) রেমিট্যান্স ছিল ১ হাজার ৬৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। ফলে অর্থবছরভিত্তিক প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৩ শতাংশে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মাসভিত্তিক প্রবাসী আয় ছিল— জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার ও অক্টোবরে ২৫৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চে রেমিট্যান্স প্রবাহ সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছিল, যা ছিল ওই অর্থবছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। পুরো অর্থবছরে প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার; যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। ওই অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স ছিল— জুলাইয়ে ১৯১.৩৭ কোটি, আগস্টে ২২২.১৩ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৪০.৪১ কোটি, অক্টোবরে ২৩৯.৫০ কোটি, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি, মে মাসে ২৯৭ কোটি এবং জুনে ২৮২ কোটি ডলার।