রাত ১১:০৮, ১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
যশোর প্রতিনিধি : আগামী ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে যশোর জেলা পুলিশ। ১৩ নভেম্বর ঘোষিত ‘লকডাউনে’ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অভিযান শুরু হয়েছে যশোর জেলা জুড়ে। মাঠে নেমেছে পুলিশের একাধিক টিম। এর অংশ হিসেবে ১০ নভেম্বর রাত থেকে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার রাতে সিনিয়র অফিসারদের নেতৃত্বে যশোর শহর ও শহরতলীতে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। কয়েক ডজন মোটরসাইকেল ও গাড়ি বহর নিয়ে হুইসেল দিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ শহরতলীর বিভিন্ন এলাকা টহল দিয়েছে। অভিযানে এ পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আটকরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুরের বজলু হাওলাদারের ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাজু রানা, মনিরামপুর উপজেলার খানপুর বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মনিরুজ্জামান, সদর উপজেলার চান্দা আফরা গ্রামের মকবুল মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া, চাঁচড়ার নাজিমুদ্দিনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম এবং চাঁচড়া কলোনী নদীর পাড়ের বাদশা ফয়সালের ছেলে নিরব সাদেকিন।
যশোর কোতোয়ালি থানা সূত্র জানিয়েছে, ১৩ নভেম্বরকে সামনে রেখে জোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে। এ লক্ষে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। নির্দেশনা যশোর পুলিশের কাছে এলে ১০ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় অভিযান শুরু হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত এই অভিযান চলমান থাকবে।
যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরদির্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, সরকারি নির্দেশনা ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ নেমে গেলে পুলিশ কঠোর হস্তে দমন করবে। এছাড়া সাধারণ শান্তিপ্রিয় মানুষ পুলিশের পাশে থাকবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা কিংবা পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করা হলে সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই আটকের আওতায় আনা হবে।
থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত যশোর শহর ও আশপাশের এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিভিন্ন মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার পৃথক দুইটি মামলায় তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।