সন্ধ্যা ৬:২৪, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক
তিনি বলেন, আমরা জুলাই জাতীয় সনদ সবাই সই করবো, যেসব বিষয়ে ভিন্নমত আছে, নোট অব ডিসেন্ট আছে- এগুলো একদম পরিষ্কারভাবে দফাওয়ারি উল্লেখ থাকবে। কী কী বিষয়ে, কী কীভাবে- নোট অব ডিসেন্ট আছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলাপ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা এবং সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বের মধ্যে স্বীকৃত হয় তেমন একটা ট্রেডিশনাল ইলেকশন করা আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে আমরা জুলাই জাতীয় সনদ যেটা প্রণয়ন করছি, তার সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক কী? আমি মনে করি জুলাই জাতীয় সনদের সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, সংস্কার পুরো জাতি চায়, আমরাও চাই। যেই দলই ক্ষমতায় আসুক বা জাতীয় সংসদে যারাই মেজরিটি পাক- তাদেরকে এটা বাস্তবায়ন করতেই হবে। গণভোটের কথা আমরা বলেছি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, আমরা জুলাই জাতীয় সনদ সবাই সই করবো। যেসব বিষয়ে ভিন্নমত আছে, নোট অব ডিসেন্ট আছে- এগুলো একদম পরিষ্কারভাবে দফাওয়ারি উল্লেখ থাকবে। কী কী বিষয়ে, কী কীভাবে নোট অব ডিসেন্ট আছে। কারণ নোট অব ডিসেন্ট দেওয়ার এখতিয়ারের জন্যই তো আমরা ঐকমত্য কমিশনে আলাপ আলোচনা করেছি। যদি তা না হতো তাহলে ঐকমত্য কমিশন যদি আমাদের প্রস্তাব দিতো, সেসব প্রস্তাবে যদি সবাই একমত হয়ে যেত তাহলে তো আলোচনার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছি গণভোটের মধ্য দিয়ে একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সেই সম্মতিটা নেওয়া যায়। যার মধ্য দিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের সব প্রস্তাব- যেগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছে, নোট অব ডিসেন্টসহ সেটা বাস্তবায়ন হবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, যারা নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে, সেটা নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করে যদি জনগণের ম্যান্ডেট পায়- তাহলে তারা সেভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে। এখন একই রকম কথা সব নোট অব ডিসেন্ট দেওয়া দফাগুলোতে উল্লেখ থাকবে, সেটা আরও শক্ত হলো। এখন হলো কোন কোন বাহানায় কেউ কেউ সই করতে হয়তো চায়নি, সে সুযোগ আর থাকলো না, বা আমরা দিলাম না।