দুপুর ১:৫৪, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় গ্রহর গুনছেন ফিলিস্তিনিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজা যুদ্ধ শেষ করার উদ্দেশ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে প্রায় সম্মতি জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে আশার সুর শোনা যাচ্ছে। গাজায় ইসরাইলি ড্রোন, বিমান হামলা ও সেনাদের উপস্থিতি থেকে মুক্ত হয়ে আবার নিজেদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার আশা করছে ফিলিস্তিনিরা।

শনিবার (৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।

যদিও তারা জানে তাদের অনেক বাড়িই সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ঘরে ফিরেও আগের অবস্থা খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। ইসরাইলি বাহিনী বিস্ফোরক রোবট ব্যবহার করে সম্পূর্ণ আবাসিক এলাকা ধ্বংস করেছে।

তবুও ফিলিস্তিনিরা তাদের ধ্বংসস্তূপের উপরই তাবু গেঁথে ‘বাড়ির অনুভূতি’ পেতে চায়। প্রথম যুদ্ধবিরতির সময়ও এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিল।

বহু মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে ত্রাণহীন অবস্থায় রয়েছে এবং বাস্তুচ্যুত জীবন অতিবাহিত করেছে।

মানবিক পরিস্থিতিও দিন দিন খারাপ হচ্ছে। খাদ্য ও পানি সংকট বেড়েছে, হাসপাতালগুলো ভিড় এবং ওষুধের ঘাটতির কারণে স্বাস্থ্যসেবা ধ্বংসের পথে। ফিলিস্তিনিরারা প্রতিদিন ভালো খবরের অপেক্ষায় এবং বাস্তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

এদিকে গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানিয়েছে, হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার পরও ইসরাইল গাজা নগরীতে বেশ কয়েকটি বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ চালিয়েছে। এতে শনিবার ভোর থেকে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।

সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে বলেন, রাতটি ছিল অত্যন্ত সহিংস। ইসরাইলি সেনারা গাজা নগরী ও উপত্যকার অন্যান্য এলাকায় বহু বিমান হামলা ও আর্টিলারি গোলাবর্ষণ চালিয়েছে, যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বোমা হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।