আমি নগরবাসীর প্রতি চির কৃতজ্ঞ : নবনির্বাচিত মেয়র ইকরামুল হক টিটু

আমি নগরবাসীর প্রতি চির কৃতজ্ঞ : নবনির্বাচিত মেয়র ইকরামুল হক টিটু

মাসুদ রানা, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন মোঃ ইকরামুল হক টিটু। গত শনিবার (৯ ই মার্চ) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪ ভোট পেয়ে তিনি জয়লাভ করেন।

গত শনিবার রাতে নগরীর টাউন হলের এড. তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় ইকরামুল হক টিটুকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী। গতকাল রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। নিজেকে উজাড় করে নগরবাসীর সঙ্গে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন নবনির্বাচিত এই মেয়র। এ সময় ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘আমি নগরবাসীর প্রতি চির কৃতজ্ঞ। তাঁদেরই সঙ্গে দীর্ঘকালের পথচলা। তাঁদের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক।

আগামী দিনে নিজেকে উজাড় করে নগরবাসীর সঙ্গে থাকব। তাঁদের ভালোবাসার প্রতিফলন ৯ তারিখ ঘটেছে। আমি তাঁদের কাছে চিরঋণী। যে অবস্থায় থাকি না কেন, আমি তাঁদের জন্য বিগত সময়ে পাশে থেকে কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও করে যাব। জলাবদ্ধতা, যানজটসহ নগরীর নানাবিধ সমস্যাগুলো নিয়ে জানতে চাইলে টিটু বলেন, ‘আমি আজ থেকে ৪ বছর ৯ মাস আগে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করি। তখন থেকেই বড় পরিসরে কাজের সুযোগ হয়। কিন্তু গ্রহণ করার ৬ মাস পর কোভিড-১৯ ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে চার বছরেরও বেশি সময় কাজগুলো ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও করতে পারিনি। এর পরেও আমাদের উন্নয়ন সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

আমি নগরবাসীকে বলেছি, এই কাজগুলো শেষ করতে পারলে, ময়মনসিংহবাসীকে একটি মডেল সিটি উপহার দেওয়া যাবে। আমি আবারও তাদের বিপুল ভোটে সেই সুযোগ পেয়েছি, এখন কাজগুলো বাস্তবায়ন করব। রাজনৈতিক কোন্দল নিরসন প্রসঙ্গে টিটু বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা যার যার অবস্থান থেকে প্রার্থী হয়েছি। কে বিজয়ী হব; এটা কিন্তু নিশ্চিত ছিল না। জয়-পরাজয় ভেবেই আমরা অংশগ্রহণ করেছি। ফলাফলটা যদি আমরা বিশ্বাস করি তাহলে আমার অবস্থান থেকে এটিকে মেনে নিতেই হবে। আমি সবাইকে আহ্বান করব যে, বিগত দিনে যেভাবে কাজ করেছি, আবারও পাশে থেকে কাজ করার।

সাংগঠনিক অবস্থাকে সুসংগঠিত করে কাজ করব। নগরপিতা হিসেবে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবেন জানিয়ে মেয়র টিটু বলেন, ‘যানজটকে সহনীয় মাত্রায় আনতে হবে, জলাবদ্ধতা দূর করতে হবে এবং টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে।’ এদিকে ইকরামুল হক টিটুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৬৩ ভোট। এর বাইরে আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৭৩, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ ড. রেজাউল হক পেয়েছেন ১ হাজার ৪৮৭ এবং জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম স্বপন মন্ডল ১ হাজার ৩২১ ভোট। একই সঙ্গে নগরী নতুন করে পেয়েছে ৩২ জন কাউন্সিলর। আর সংরক্ষিত নারী আসনে ১১ জন।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, নগরীতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন যাদের মধ্যে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭২ জন পুরুষ এবং ১ লাখ ৭২ হাজার ৬১৫ জন নারী এবং ৯ জন হিজড়া। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৩৯ যা মোট ভোটের ৫৬ দশমিক ৩০ শতাংশ।

More News...

১৭৩ জন বাংলাদেশী মিয়ানমার কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন

বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে পাবনায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান